রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যা

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি আত্মহত্যা চেষ্টার পর মারা গেছে। গতকাল কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ঘটনা ঘটে। কয়েদির নাম আমিরুল ইসলাম ওরফে রাশেদ উদ্দিন (৩৪)। তিনি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার মধ্যচেঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলাম চৌকিদারের ছেলে। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট কুমিল্লা কারাগার থেকে কাশিমপুরের এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয় কয়েদি আমিরুল ইসলাম ওরফে রাশেদ উদ্দিনকে। স্ত্রীকে হত্যার দায়ে নোয়াখালীর হাতিয়া থানায় দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের একটি মামলায় তাকে ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়। ওই মামলায় ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আদালত তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

জেল সুপার জানান, এ কারাগারের একই কনডেম সেলে আমিরুলসহ তিনজন কয়েদি থাকতেন। গতকাল ভোর রাত পৌনে ৩টার দিকে ওই কনডেম সেলের ভিতরে থাকা টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে বিছানার চাদরের ছেঁড়া অংশ দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় আমিরুলকে ঝুলতে দেখেন অন্য দুই কয়েদি। তাদের চিৎকারে কারারক্ষীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আমিরুলকে উদ্ধার করেন। এরপর তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় কারাগারের জেলার, সহকারী সার্জন, ডেপুটি জেলার ও ডিপ্লোমা নার্সদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আমিরুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় এ হাসপাতালে আনা হয়। তার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

সর্বশেষ খবর