রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ট্যাংকে রেখে নিখোঁজের নাটক

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর ফিরোজা বেগম রুমা (৩৮) নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ গতকাল টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাগেরহাট সদর উপজেলার দেওয়ানবাটি গ্রাম থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আলী হোসেন মোল্লা প্রেম আলীকে (২৯) গ্রেফতার করেছে। পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে প্রেম আলী। ফিরোজা বেগম দেওয়াবাটি গ্রামের গফুর মোল্লার মেয়ে। গ্রেফতার প্রেম আলী বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকার আজিজ মোল্লার ছেলে। বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, স্বামী আলী হোসেন মোল্লা প্রেম আলী দেড় বছর আগে সদর উপজেলার দেওয়ানবাটি গ্রামের গফুর মোল্লার মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা ফিরোজা বেগম রুমাকে বিয়ে করে ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করতে থাকেন। এটা প্রেম আলীর তৃতীয় বিয়ে। পারিবারিক কলহের জেরে ২৯ জুলাই প্রেম আলী স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে হত্যা করেন। এরপর লাশ বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন। এর মধ্যে ৩ আগস্ট প্রেম আলী থানায় এসে স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জিডি করেন। স্ত্রীর লাশ টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে রেখে এক সপ্তাহ ধরে ওই ঘরেই বসবাস করেন প্রেম আলী। নিখোঁজের খবর পেয়ে গতকাল বিকালে নিহত ফিরোজার প্রথম পক্ষের মেয়ে পূর্ণিমা ও তার স্বামী রায়হান ব্যাপারী এসে মায়ের ঘরে ঢুকেই পচা গন্ধ পান। এ সময় পূর্ণিমা ও তার স্বামী টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের স্লাব খুললে একটি বস্তার মধ্যে মায়ের অর্ধগলিত মুখ দেখতে পায়। এরপর তারা ৯৯৯ ফোন দেন। পুলিশ প্রেম আলীকে গ্রেফতার ও নিহতের লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বাগেরহাট হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর