মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
ট্রাকচাপায় সাংবাদিকের মৃত্যু

চালকের ছিল না ভারী যানের লাইসেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সাংবাদিক মঞ্জুর হোসেন মিলনের ঘাতক ট্রাকের চালক আহাদ মিয়ার (২৬) ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্স ছিল না।

আহাদ মিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ততথ্যের ভিত্তিতে গতকাল এসব জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এর আগে গতকাল সকালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে আহাদ মিয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তিনি আরও জানান, ট্রাকটির ধারণ ক্ষমতা ৮ টন। অথচ ট্রাকে প্রায় ১৪ টন ওজনের বালু বোঝাই ছিল। গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ৪ আগস্ট বেপরোয়া গতির ডাম্প ট্রাক চাপায় সাংবাদিক মঞ্জুর হোসেন মিলন (৫২) নিহত হন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রিমিন আক্তার কাপাসিয়া থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন বলেন, ট্রাকচালক আহাদ ৪ আগস্ট সকালে বালু বোঝাই ড্রাম ট্রাক নিয়ে কাপাসিয়া থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। ট্রাকে অতিরিক্ত বালু বোঝাই সত্ত্বেও তিনি বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন। সকাল সোয়া ৯টায় কাপাসিয়া উপজেলার কোর্টবাজালিয়া বাজারে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সাংবাদিক মিলনের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয় ট্রাকটি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সাংবাদিক মিলন গাজীপুর সিটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ওইদিন সকালে তিনি সংবাদ সংগ্রহের কাজে কাপাসিয়া যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর চালক ট্রাক রেখে পালিয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আহাদ সাত বছর ধরে মাহিন্দ্রা, পিকআপভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চালাচ্ছিলেন। তার মাঝারি যানবাহন চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে, ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্স নেই। এ ছাড়া ধারণক্ষমতার চেয়ে ট্রাকটিতে প্রায় ৬ টন বেশি ওজনের মাল বোঝাই ছিল। মামলার তথ্য জানার পর গ্রেফতার এড়াতে আহাদ মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করেন। এ প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, বিআরটিএ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলে শাস্তির ভয়ে চালকেরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাবেন না। তখন অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনাও কমে আসবে।

সর্বশেষ খবর