আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, মানুষের পিছুটানে যদি বাধা না থাকে, সংশয় না থাকে তাহলে তার জন্য যে কোনো কাজ করা সহজ হয়। বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতাকে সেরকম মানুষই পেয়েছিলেন। বঙ্গমাতা কখনো বঙ্গবন্ধুর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াননি এবং তিনি সাংসারিক সব দায়-দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পথচলা মসৃণ হয়েছিল। গতকাল বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন-বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, মহীয়সী নারী, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে ‘প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষ্মী নারী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের পরিচালনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বক্তৃতা করেন।

আমু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে অসমাপ্ত আত্মজীবনী লিখেছিলেন। এই আত্মজীবনী লেখার পেছনে প্রেরণা ছিল বঙ্গমাতার। বঙ্গবন্ধু তখন জেলে। বঙ্গমাতা খাতা-কলম নিয়ে জেলে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে বলেছিলেন বসে বসে লিখ। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সফলতা থেকে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার পিছনে বঙ্গমাতার অবদান সবচেয়ে বেশি।