শিরোনাম
শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাবেক মন্ত্রী মোশাররফের পাঁচ অনুসারীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ৫২ রাখ ৭৬ হাজার টাকা লন্ডারিংয়ের অভিযোগে গত বুধবার মামলা হয়েছে। এতে প্রধান আসামি ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মোশাররফের ভাই ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের সহকারী ব্যক্তিগত সচিব এ এইচ এম ফোয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল। সিআইডির ইন্সপেক্টর মো. নাসিরউদ্দিন বাদী হয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ দমন আইনে এই মামলা করা হয়। কোতোয়ালি থানার মামলা নম্বর ২৮।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সিদ্দিকুর রহমান সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের মাধ্যমে ঠিকাদারি কাজে ৩ থেকে ৫ পার্সেন্ট কমিশন নিতেন। খন্দকার বাবরের পরে তিনি এপিএস ফোয়াদ, বরকত ও রুবেলের হেলমেট ও হাতুড়ি বাহিনী ব্যবহার করে কমিশন বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। ক্ষমতার দাপটে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স, ফরিদপুর রেল স্টেশনের পাশে বালু ও পাথরের ব্যবসা এবং সিএন্ডবি ঘাট ও টেপাখোলা গরুর হাট নিয়ন্ত্রণ করে ১০০ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা উপার্জন করেন। সিদ্দিকুর রহমান ব্যতীত এ মামলার অন্য সব আসামি অন্য মামলায় বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

এর আগে সিআইডি সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অনুসারীদের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের একটি মামলার পরে এপিএস ফোয়াদের নামে মানি লন্ডারিংয়ের আরও একটি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার মামলায় প্রথম দফায় ১০ জনের নামে এবং দ্বিতীয় দফায় আগের আসামিরাসহ মোট ৪৬ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

সর্বশেষ খবর