ডাকাতি, অপহরণ, মানব পাচার, মাদক পাচার, ধর্ষণসহ নানা অপরাধের হোতা সশস্ত্র রাসেল বাহিনী প্রধানসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১৫। এ সময় ছয়টি দেশে তৈরি একনলা বড় বন্দুক, দুটি এলজি, ১২ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, ৭ রাউন্ড রাইফেলের তাজা কার্তুজ ও ১ রাউন্ড খালি কার্তুজ, একটি রামদা, ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও চারটি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তাদের উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গতকাল কক্সবাজার র্যাব-১৫ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতভর কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা বটতলী গহিন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর উখিয়া ইউএনওর নেতৃত্বে অভিযানে তার আস্তানা থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল।
র্যাব-১৫-এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আরও জানান, ইতোমধ্যে রাসেল বাহিনীর সদস্যরা র্যাব, পুলিশ, বন বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেছিল। তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর র্যাব গহিন পাহাড়ে অভিযান চালায়। তিনি জানান, গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে উখিয়ার থাইংখালীর শেখ রাসেলের (৩২) বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ, মাদক, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৫টি; মো. ছলিমের (৩৮) বিরুদ্ধে তিনটি; নুরুল আমিনের (৪২) বিরুদ্ধে পাঁচটি, সাদেক হোসেনের (৩০) বিরুদ্ধে ছয়টি, সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে (২৫) তিনটি এবং উখিয়ার থাইংখালীর নুরুল হাকিমের (৪০) বিরুদ্ধে তিনটির অধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তাদের সহযোগী হিসেবে টেকনাফের রঙ্গিখালী এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে কায়সার উদ্দিনকে (২০) গ্রেফতার করা হয়।