শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

এক ট্রলারেই ৩৯ মণ ইলিশ বিক্রি ১৬ লাখে

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

চলছে ইলিশের মৌসুম, এ ভরা মৌসুমে যেখানে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ার কথা ঠিক এমন সময় জেলেদের জালে তেমন কোনো মাছ ধরা পড়ছে না। যে কারণে জেলেসহ মৎস্যজীবীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ঠিক এমন সময় সাগরে গিয়ে বাজিমাত করলেন ‘এফবি আরএস-২’ নামের ট্রলারের জেলেরা। ৩৯ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে তাদের জালে।

গতকাল দুপুরে ইলিশভর্তি ট্রলারটি ভিড়ে জেলার পাথরঘাটায়- দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে। এরপর ইলিশগুলো ১৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেন তারা। ট্রলারটির মালিক বরগুনা সদর উপজেলার নলী বন্দর এলাকার বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেন।

উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার ট্রলারটি নিয়ে ১১ জন জেলে গিয়েছিলেন সাগরে। তারা বিভিন্ন সাইজের ৩৯ মণ ইলিশ ধরেছেন। একসঙ্গে এত মাছ আমার ট্রলারে আর কোনোদিন ধরা পড়েনি। এর মাধ্যমে আমি কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব। আর জেলেরাও লাভবান হবেন।

‘এফবি আরএস-২’ ট্রলারের মাঝি মো. মনির বলেন, পাথরঘাটা থেকে পূর্বদিকে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করেছি গত পাঁচ দিন। এ সময় আমাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ে। প্রতিটি ইলিশের ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত। মাছগুলো বড় তাই বেশি টাকায় বিক্রি করতে পেরেছি। আগামী দুই দিনের মধ্যে আবারও সাগরে যাব ইলিশ মাছ শিকারের উদ্দেশে।

তবে এর বিপরীত চিত্রও দেখা যাচ্ছে। সাগর থেকে খালি হাতে ফিরে এসেছেন একাধিক জেলে। তারা বলেন, পাঁচ থেকে সাত দিন সাগরে জাল বাইচ করেছি। কিন্তু ১০০ থেকে ১৫০টি ইলিশ পেয়েছি, তাতে আমাদের কিছ্ইু হবে না। জেলে আফজাল হোসেন বলেন, তিন দিন সাগরে থাকার পর জাল ছিঁড়ে যাওয়ায় খালি হাতেই কূলে আসছি। এখন জাল মেরামত করতে অন্তত এক সপ্তাহ লাগবে। মাঝে মধ্যে যারা মাছ পায় সেটা ভাগ্যক্রমে।

পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, ৬৫ দিন নিষেধ থাকার পর প্রতিটি ট্রলার কম-বেশি ইলিশ পাচ্ছে। গত বছরের তুলনার চেয়ে এবার সাগরে অনেক মাছ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সর্বশেষ খবর