এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে হচ্ছে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রয়াত সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। গতকাল সিডিএ’র ৪৫৮তম বোর্ডসভায় সর্বসম্মতিক্রমে নামকরণের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের সভাপতিত্বে সভায় বোর্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটির কাজ প্রায় শেষ। বোর্ডসভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে নামকরণের বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সভার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। জানা যায়, প্রায় ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১১ জুলাই অনুমোদন হয়। তখন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন হয়। ২০২২ সালে নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা। র‌্যাম্প ও লুপ মিলে উড়ালসড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার। চার লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্থ ৫৪ ফুট। নয়টি এলাকায় ২৪টি র‌্যাম্প (গাড়ি ওঠানামার পথ) থাকবে। নগরের টাইগার পাস মোড়ে চারটি, আগ্রাবাদ মোড়ে চারটি, বারিক বিল্ডিং মোড়ে দুটি, নিমতলী মোড়ে দুটি, কাস্টমস মোড়ে দুটি, সিইপিজেড মোড়ে চারটি, কর্ণফুলী ইপিজেডের সামনে দুটি, কাঠগড়ে দুটি ও পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় দুটি র‌্যাম্প থাকবে।