সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
মানিকগঞ্জে রুবেল হত্যা মামলা

২০ বছর পালিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হলো না

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানিকগঞ্জে চাঞ্চল্যকর রুবেল হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ওমর আলী (৬৬)। ২০ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছিলেন আত্মগোপনে। জড়িয়েছেন নানা পেশায়। বদলেছেন নিজের বেশভূষা। তবে এবার আর শেষরক্ষা হয়নি তার। শনিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪-এর একটি দল তাকে ঢাকার সাভার উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে র‌্যাব তাকে হস্তান্তর করে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৪-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম আরিফ হোসেন বলেন, ওমর আলী ও ভিকটিম রুবেল একই এলাকায় বসবাস করতেন।

 ভিকটিম রুবেলের বাবা সামছুল হকের সঙ্গে আগে থেকেই জমি-জমা নিয়ে ওমর আলীর বিরোধ ছিল। ২০০১ সালের ২৪ এপ্রিল জমি চাষাবাদকে কেন্দ্র করে রুবেল ও তার বাবা সামছুল হকের সঙ্গে ওমর আলীর কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। বিরোধের জেরে ২০০১ সালের ২৬ এপ্রিল রুবেলকে রওশন আলীর মাঠে একা পেয়ে ওতপেতে থাকা ওমর আলী ও তার সহযোগী ইব্রাহিম, রাজ্জাক, হানিফসহ অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারজন মিলে দেশি অস্ত্র দিয়ে রুবেলকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে ওই মাঠের দক্ষিণ পাশের নালায় বস্তায় বেঁধে লাশ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, ভিকটিমের বাবা সামছুল হক ছেলেকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে সিংগাইর থানায় ডায়েরি করেন। ভিকটিমের বাবা জানতে পারে যে, সিংগাইরের ধল্যা ইউনিয়নের গাজিন্দা গ্রামে রওশন আলীর মাঠের দক্ষিণ পাশের নালার মধ্যে বস্তাভর্তি একটি লাশ পাওয়া গেছে।

খবর পেয়ে সামছুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি তার ছেলে রুবেলের বলে শনাক্ত করেন। পরে সামছুল হক বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় ওমর আলী ও তার সহযোগী ইব্রাহিম, রাজ্জাক, হানিফসহ অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

জানা গেছে, পলাতক আসামি ওমর আলী মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে ২০ বছর পলাতক ছিলেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে ওমর আলী এলাকা থেকে পালিয়ে ঢাকার সাভার এলাকায় চলে আসে। ২০ বছর ধরে আসামি ওমর আলী ঢাকা জেলার আশুলিয়া ও সাভার এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে আত্মগোপনে থেকে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।

সর্বশেষ খবর