মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিয়েতে রাজি না তবে সন্তানের অধিকার চান ধর্ষিতা নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

টাঙ্গাইল-২ আসনের এমপির বড় ভাই, বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা এক কিশোরী মাতা বলেছেন, হাই কোর্টের আদেশে আসামি ডিএনএ স্যাম্পল দিতে বাধ্য হয়েছেন। এখন বড় মনির যদি আমাকে বিয়ে করতে চায়, আমি তাতেও রাজি না। আমি শুধু আমার সন্তানের অধিকার চাই এবং তারা যাতে প্রভাব খাটিয়ে ডিএনএ রিপোর্ট পরিবর্তন করতে না পারেন, সেটি চাই। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ওই কিশোরী মা। এ সময় শিশু সন্তানসহ পাশে ছিলেন কিশোরীর এক ফুপু। ধর্ষিতা নারী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আসামির ডিএনএ পরীক্ষার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন তিনি ডিএনএ স্যাম্পল দিতে গড়িমসি করেন। গত ২১ আগস্ট হাই কোর্টের আদেশে আসামি ডিএনএ স্যাম্পল দিতে বাধ্য হন। আমি যাতে ডিএনএ স্যাম্পল দিতে না যাই, সেজন্য ১ কোটি টাকা এবং একটি ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় বড় মনির পক্ষ থেকে। আমি টাকা চাই না। আমি আমার বাচ্চার অধিকার চাই। ডিএনএ স্যাম্পল পরিবর্তন করার জন্য প্রভাবশালী মহলে যে পরিমাণ টাকা বড় মনিরের পক্ষ থেকে অফার করেছে, তাতে আমি ডিএনএ পরীক্ষা ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করছি। কিশোরী মাতা অভিযোগ করেন, বাচ্চার ডিএনএ পরীক্ষার সময় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তার আচরণে মনে হয়েছে আমি একজন আসামি। তিনি দাবি করেন, তৎকালীন টাঙ্গাইলের নারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী নুসরাত এদীব লুনার স্বামী পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম বর্তমানে সিআইডিতে কর্মরত। তিনি ডিএনএ পরিবর্তন করতে আসামিদের পক্ষে সহযোগিতা করতে পারেন। কারণ লুনার সঙ্গে ছোট মনি (এমপি) ও বড় মনির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বড় মনি ও ছোট মনির সুপারিশে মুহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম ও কাজী নুসরাত এদীব লুনা পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এর আগে লুনার স্বামী মিনহাজুল ইসলামের আপন বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের ক্যাডার থাকার কারণে তাদের পদোন্নতি বন্ধ ছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাই পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলামকে ম্যানেজ করে ডিএনএ পরীক্ষার রেজাল্ট পরিবর্তন করতে পারেন বলে আশঙ্কা তার। কারণ ক্ষমতাবানদের প্রভাবে বড় মনি জেলহাজতে যাওয়ার পর থেকে অসুস্থতা দেখিয়ে টাঙ্গাইলের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ধর্ষণের মামলা করার পর থেকেই তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর