মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল

ফখরুলের আর্থিক অনুদানের খবর ভিত্তিহীন

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকা অনুদান নিয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিতে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর’, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই তথ্যটি ভুয়া ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ খবর শুধু মিথ্যাই নয়, এটি একটি চরম নোংরামি, অপপ্রচার। এ ধরনের নোংরামি যারা করতে পারে- তারা কোনো সভ্যতার মধ্যে পড়ে না। চিকিৎসার জন্য বর্তমানে স্ত্রী-সন্তানসহ সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন তিনি। ২৪ আগস্ট তিনি সিঙ্গাপুর যান। গত ২৭ আগস্ট সন্ধ্যার পর সোনালী ব্যাংকের চেক এবং মির্জা ফখরুল ও তাঁর স্ত্রী রাহাত আরার ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এর ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকা সাহায্য নিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।’ চেকে তারিখ রয়েছে ২০/০৮/২০২৩। বিষয়টি বিএনপির মিডিয়া সেলের নজরে এলে তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনেক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। তাঁর ব্যাপারে অবান্তর কোনো গুজব ছড়ানোর আগে ভাবনা-চিন্তা করা উচিত।

এ ধরনের মানুষদের নিয়ে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। এদিকে মির্জা ফখরুল অনুদান নিয়েছেন কি না এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

এ বিষয় বিএনপি মহাসচিবের ব্যক্তিগত সহকারী ইউনুস আলী বলেন, মহাসচিবের সঙ্গে এটা নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি এটাকে পুরোপুরি অসত্য, গুজব, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে বলেছেন, সম্মানহানি এবং হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে নকল চেক বানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুলকে কেনা যায় না। দেশের মানুষ জানে, এরা প্রপাগান্ডা চালানোর মেশিন। এরা প্রপাগান্ডা চালাবে এবং তাদের কোনো প্রপাগান্ডাই দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না।’

মির্জা ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এমন একটি জায়গায় চলে গেছে, এটাকে আমরা বলি নষ্ট সময়, নষ্ট রাজনীতি। কত টাকা আছে তাদের? লক্ষ-কোটি টাকার মালিক হয়েছে জনগণের সম্পদ-ব্যাংক লুট করে। কিন্তু তাদের বুঝতে হবে যে- মির্জা ফখরুলকে কেনা যায় না। মির্জা ফখরুল বিক্রি হয় না। তারা সবাইকে নিজেদের মতো বিক্রয়যোগ্য পণ্য মনে করে। কিন্তু মির্জা ফখরুলরা টাকার জন্য রাজনীতি করেন না, তাদের কেনা যায় না।’

সর্বশেষ খবর