ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের ইতালিপ্রবাসী শাহাবুদ্দিন মোল্লার (২৬) বাড়িতে দুই দিন ধরে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে অনশন করছেন নার্সিং কলেজের এক ছাত্রী (২১)। মঙ্গলবার সকাল থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার বাড়ি আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নে। তিনি ফরিদপুর জেড এম নার্সিং কলেজের ডিপ্লোমা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন বারাংকুলা গ্রামের উমর আলী মোল্লার ছেলে। এদিকে ঘটনার পর থেকে শাহাবুদ্দিন মোল্লার নতুন স্ত্রী ও বাড়ির অন্য সদস্যরা ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ইতালিপ্রবাসী শাহাবুদ্দিন মোল্লার বাড়িতে উপস্থিত হন কলেজছাত্রী। তিনি নিজেকে শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী দাবি করেন। তার পর থেকে ওই বাড়িতে অবস্থান করছেন। তরুণীর ভাষ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সাল থেকে শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। শাহাবুদ্দিন ইতালি থাকা অবস্থায় মোবাইলে নিয়মিত কথা বলতেন। ভিডিওকলে কথা বলার সময় স্ক্রিনশট এবং ছবি-ভিডিও সংরক্ষণ করতেন ওই প্রবাসী। পরে এগুলো দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে তরুণীর বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন একাধিকবার। ২০২৩ সালে ইতালি থেকে দেশে আসেন শাহাবুদ্দিন। গত ১৭ আগস্ট ওই তরুণীকে বিয়ে করেন। তরুণী জানান, ২৫ আগস্ট তাকে কিছু না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শাহাবুদ্দিন এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। কোনো উপায় না পেয়ে তিনি তার বাড়িতে চলে আসেন। তরুণী বলেন, ‘আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখানে আসার পর মারধর করে আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে তারা সবাই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। আমি মরে গেলেও শ্বশুরবাড়ি থেকে যাব না।’ ভুক্তভোগী তরুণীর মামাতো ভাই আকবর মিয়া বলেন, ‘আমার বোনকে মারধর করে তারা ঘরে তালা মেরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।’ এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শাহাবুদ্দিন মোল্লার বাড়িতে কেউ না থাকায় কিছুই জানা যায়নি। তবে শাহাবুদ্দিনের চাচাতো ভাই তৈয়েবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগে পরে কী হয়েছে বলতে পারব না।
তবে গতকাল সকাল থেকে পাশের ইউনিয়নের একটি মেয়ে শাহাবুদ্দিনকে স্বামী দাবি করে বাড়িতে অনশন করছে।’
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, ‘খবর পেয়ে ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়। স্থানীয়ভাবে জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি দেখছেন। মেয়েটি যদি ওই ছেলের বৈধ স্ত্রী হন, তাহলে আইনি সহযোগিতা চাইলে আমাদের পক্ষ থেকে করা হবে।’