বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

‘দেশে গুমের সংস্কৃতি শুরু হয় জিয়ার হাত ধরে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে গুমের সংস্কৃতি শুরু হয় জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। ১৯৭৭ সালে প্রহসনের বিচারের নামে হত্যার শিকার সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবার ও স্বজনরা ক্ষোভ জানিয়ে জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি করেছেন। গতকাল আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা। এ সময় বক্তারা বলেন, জিয়াউর রহমানের দেখানো পথে হাঁটছে বিএনপিও। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, গুমের শিকার শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার ছেলে নাহিদ ইজাহার খান। উপস্থিত ছিলেন গণহত্যা বিষয়ক গবেষক আনোয়ার কবির, ১৯৭৭ সালে চাকরিচ্যুত সার্জেন্ট নূরুল হক ও মুনিরুল ইসলাম প্রমুখ। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, জিয়ার অন্যায়ভাবে দেওয়া ফাঁসিতে সেদিন যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের স্বজনদের কান্না এখনো থামেনি। এ কান্না থামারও নয়। তিনি বলেন, জানামতে ১৯৭৭ সালে জিয়া ১ হাজার ৫০০ মানুষকে হত্যা করেছে। প্রতি এক মিনিটে একেকটা রায় দিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের। আজিমপুর কবরস্থানের দায়িত্বশীলরা বলেছেন, ‘সেদিন একের পর এক লাশ আসছিল। কিন্তু আমরা জানি না, তা কোথা থেকে আসছে।’ অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেন, জিয়াউর রহমান এক মিনিটেই জীবন-মৃত্যুর ফায়সালা দিতেন।

১৯৭৮ সালের ওয়াশিংটন পোস্টের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, জিয়াউর রহমান অভিযুক্তদের কোর্টে পাঠানোর আগেই ৩০-৪০ জনকে ফাঁসি দিয়েছেন। ১৯৭৭ সালে যা ঘটেছিল তা ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘনের অধ্যায়, গুমের অধ্যায়।

শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার ছেলে নাহিদ ইজাহার খান বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কাছে আমার প্রশ্ন, আপনারা কেন সেদিন আমাদের পাশে দাঁড়াননি? আপনারা সেদিন কোথায় ছিলেন? জিয়াউর রহমান এ দেশে গুমের রাজনীতি শুরু করে। সবাইকে বলব, আপনারা এক হয়ে জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি তুলুন। এ খুন-গুমের সুষ্ঠু বিচার হোক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর