প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন শুধু অবাধ, সুষ্ঠু নয়, বিশ্বাসযোগ্যও হতে হবে। তিনি বলেন, জনগণ সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে তা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। যদিও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মতো রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সর্বোচ্চ ধাপে আমরা এখনো পৌঁছাতে পারিনি বলে মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথম ধাপে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। কাজেই প্রস্তুতি প্রয়োজন। যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাদের প্রশিক্ষণে উপযুক্ত করে তোলা। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে বড় নির্বাচন কমিশন। প্রায় ৯ লাখ নির্বাচন কর্মকর্তা এ নির্বাচনে সম্পৃক্ত হবেন। তাদের ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব উপলব্ধি করতে হবে। রিটার্নিং অফিসারের যে দায়িত্ব ও ক্ষমতা, যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে এসেছেন তাদের সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া হবে।
হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, আমাদের সার্থকতা হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারলে। এর সঙ্গে আরেকটি বিষয় যুক্ত হয়েছে, ক্রেডিবিলিটি। আমাদের সমন্বিতভাবে চাইতে হবে এবং এটি বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। নির্বাচন কোনো সহজ কর্ম নয়। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে নির্বাচন নিয়ে হা-হুতাশ করতে হয় না। বিশেষ করে ইউরোপের অনেক দেশ, যেখানে নির্বাচনগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে হয়ে যায়। ওরা গণতন্ত্রের একটা বিশেষ অবস্থানে গিয়ে থিতু হয়েছে। প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি সিইসি বলেন, ‘আমি আপনাদের বলব, প্রশিক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণভাবে গ্রহণ করবেন। কোনোরকম সংশয় রেখে এখান থেকে বিদায় নেবেন না।’
-(1.jpg?v=1721305411)
