বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সুশীলরা তাকান সুদূর পশ্চিমে : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কিছু মানুষ যারা নিজেদের সুশীল সমাজ বলে মনে করে, তারা নিজেদের জনগণের গার্ডিয়ান মনে করে। কিন্তু কতটুকু জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা তাদের তা নিয়ে সন্দেহ আছে। নানা ডিকটেশন দেয়। দেশের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে তাকান না। তারা তাকান সুদূর পশ্চিমে। সেখান থেকে যে বাণী আসে, সেভাবে তারা এখানে সবক দেওয়ার চেষ্টা করেন। গতকাল জাতীয় সংসদের বৈঠকে ‘জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন (সংশোধন) বিল ২০২৩’- পাসের আলোচনার জবাব দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দেশের নির্বাচন নিয়ে সুশীল সমাজের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে দেওয়া জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম।

এ দেশের জনগণই নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক করবে সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব কারা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হলে সে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ীই নির্বাচন হবে।

জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, আমাদের ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন দরকার। সে জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠান আছে। সরকার নির্বাচনের সময়ে রুটিন দায়িত্ব পালন করে। এটা নিয়ে আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ বারবার জোর করে সংসদকে অকার্যকর, সংসদ চলে না, নানা কথা বলেন। এটা হলে তো নির্বাচন লাগে না। তিনি বলেন, আমরা চাই ফ্রি, ফেয়ার ও অংশগহণমূলক নির্বাচন। মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে। নিরাপত্তা পাবে। প্রধানমন্ত্রী এটা চান। দেশবাসী চান। বিশ্ববাসীও এটা চায়। এর বাইরে আর কিছু হবে না। এটা সবাইকে মানতে হবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে একটি অস্পষ্টতা, আতঙ্ক ও হতাশা রয়েছে। অনেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতার দাপটে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। সেই নির্বাচনে জনগণের মতামতের সঠিক প্রতিফলন ঘটেনি। ২০১৮ সালে অধিকাংশ জায়গায় আগের রাতে ভোট হয়ে যায়। এখানেও জনমতের প্রতিফলন হয়নি।

জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, উচ্চ আদালতের তিনজন বিচারপতিকে দুর্নীতির অভিযোগে দায়িত্ব পালন থেকে অনেক দিন ধরে বিরত রাখা হয়েছে। কিন্তু তারা বেতন ভাতা পাচ্ছেন। এই বিষয়টির সুরাহা করা প্রয়োজন। নির্বাচনে মহিলাদের বেশি সংখ্যক নমিনেশন দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যবাধকতা করা যায় কি না বিবেচনার প্রস্তাব দেন তিনি।

রওশন আরা মান্নান বলেন, অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মহিলারা উন্মুক্ত পদ্ধতিতে নির্বাচন করে জনপ্রিয়, তাদের কি দরকার আছে সংরক্ষিত আসনের? তাদের দুর্বল বলা যায় না। মহিলারা অনেক বছর ক্ষমতায়, কিন্তু সবাই তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মতিয়া চৌধুরী কিংবা শিরীন শারমিন চৌধুরী হতে পারবেন না। তিনি সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়ানোর আহ্বান জানান।

সর্বশেষ খবর