বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পর্দা নামল রুশ চলচ্চিত্র উৎসবের

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

রাশিয়ার কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘হার্ট অব এ ডগ’ ও ‘পাইরেটস অব দ্য এক্সএক্স সেঞ্চুরি’ নামের দুটি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে শেষ হলো দুই দিনের রুশ চলচ্চিত্র উৎসব। এর মধ্যে ‘হার্ট অব এ ডগ’-এর কাহিনি বিন্যস্ত হয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রচেষ্টায় একটি কুকুরের মানবে রূপান্তর হওয়ার পরের নেতিবাচক ঘটনা নিয়ে আর ‘পাইরেটস অব দ্য এক্সএক্স সেঞ্চুরি’ ছবিটির কাহিনি গড়ে উঠেছে ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের জন্য বহনকারি সোভিয়েত কার্গো জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে জলদস্যুদের লড়াইকে কেন্দ্র করে।

ভিন্ন ধারার গল্পের নান্দনিক শৈলীর এই দুটি চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনীতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ছবি দুটিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছিল দর্শক-শ্রোতারা। এই দুটি চলচ্চিত্র এ দেশের সিনেমাপ্রেমীদের একদিকে যেমন উৎফুল্ল করেছিল অন্যদিকে চলচ্চিত্রের বিবর্তনের ইতিহাসে রাশিয়াকেও নতুন করে তুলে ধরেছে।

‘হার্ট অব এ ডগ’ ও ‘পাইরেটস অব দ্য এক্সএক্স সেঞ্চুরি’ এই দুটি ব্যতিক্রমী ছবির চোখ ধাঁধানো প্রদর্শনীর মধ্য দিয়েই গতকাল স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির মিলনায়তনে দ্ইু দিনব্যাপী রুশ চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামে।

সমাপনী আসরে বক্তৃতা করেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিয়াউল হাসান ও রাশিয়ান কালচারাল সেন্টারের প্রধান পাভেল আলেকজান্দ্রেভিচ।

রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্বের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২ অক্টোবর সোমবার দুই দিনের এই উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্টিয়েভিচ মানতিতস্কি।

উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শিত হয় বিখ্যাত রুশ চলচ্চিত্র ‘বালাদ অব এ সোলজার’।

উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন ফাতিনাজ ফিরোজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউনুছ মিয়া, রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার প্রধান পাভেল আলেকজান্দ্রেভিচ, রডিনার সভাপতি এলেনা ইউরিভনা বাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান চলচ্চিত্র পরিচালক ড. মতিন রহমান।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার অবদানের নানা বিষয় তুলে ধরে এই উৎসবে চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী ছাড়াও ছিল বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনী। স্বাধীনতার পর রুশ সেনারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাইন অপসারণে এ দেশের সরকারকে যেভাবে সাহায্য করেছিল, পাশাপাশি রুশ নাবিকেরা সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের নৌবাহিনী গঠনেও ভূমিকা রেখেছিল সে সব নিয়েই সাজানো ছিল বিশেষ এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

সর্বশেষ খবর