বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মহাশ্মশানে ভারতীয় উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ শ্মশান দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীপাবলি ঘিরে উৎসবের আমেজ ছিল পুণ্যার্থীদের মধ্যে। দূরদূরান্ত থেকে পূজারিরা সমাধিতে গিয়ে প্রদীপ প্রজ্বলন, গীতা পাঠ আর পছন্দের খাবার সাজিয়ে রেখে প্রয়াতদের স্মরণ করেন। এ উপলক্ষে প্রায় ছয় একর আয়তনের কাউনিয়া মহাশ্মশান সাজানো হয়েছে নবরূপে। উৎসব নির্বিঘ্ন এবং শান্তিপূর্ণ করতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বরিশাল মহাশ্মশান ঘিরে দীপাবলি উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রায় ২০০ বছর ধরে। রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত, পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা বিপ্লবী দেবেন ঘোষ এবং মনোরমা বসু মাসিমাসহ প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার সমাধি রয়েছে এখানে। প্রতিবছর কালিপূজার আগের দিন ভূত চতুর্দশীর পুণ্য তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের প্রয়াত স্বজনদের সমাধিতে দীপ জ্বেলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গতকাল সন্ধ্যার পর মহাশ্মশান পুণ্যার্থীদের পদভারে মুখরিত হয়। তারা প্রয়াত স্বজনের সমাধিতে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে, গীতা পাঠ করে এবং পছন্দের খাবার সাজিয়ে রেখে প্রার্থনা করেন। শ্মশানে দীর্ঘদিন পর পুরনো স্বজন বন্ধুদের পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকে।
দীপাবলি উপলক্ষে সেখানে আয়োজন করা হয় মেলার।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া জোনের সহকারী কমিশনার মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, দীপাবলি উৎসবে লাখো মানুষের সমাগম হয়। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দীপাবলি উৎসব। এই উৎসব নির্বিঘ্ন এবং শান্তিপূর্ণ করতে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।