সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নাশকতা প্রতিরোধে নতুন পদ্ধতি ডিএমপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাসে আগুন দেওয়া দুর্বৃত্ত ও নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ ছাড়া নাশকতা প্রতিরোধে এখন থেকে আরও কিছু নতুন পদ্ধতি চালু করা হবে। যাতে বাসে যাত্রীবেশে নাশকতাকারীদের ওঠাটা আরও কঠিন হবে। আরও কিছু কাজ আমরা করব সেগুলো এখন বলতে চাইছি না। এসব নির্মম-নিষ্ঠুর কাজের জন্য দেশের প্রচলিত আইন খুবই কঠোর। নাশকতাকারীরা যদি এসব বন্ধ না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে। গতকাল ডিএমপি সদর দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

ডিএমপির এত নিরাপত্তার পরেও এত বাসে কীভাবে আগুন দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, পরিপূর্ণ নিরাপত্তা বলতে আসলে পৃথিবীতে কিছু নেই। সব থেকে বেশি চ্যালেঞ্জিং হয় চোরাগোপ্তা কিংবা ছদ্মবেশে হামলা। সমকালীন সময়ে আমরা যার কিছু নমুনা দেখছি।

 তারপরেও ডিএমপির পক্ষে যত ধরনের নিরাপত্তা পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় সেটি কিন্তু আমরা করছি। কিন্তু যারা এ ধরনের চোরাগোপ্তা নাশকতা করছে, তারাও কিন্তু তাদের স্থান ও সময় পরিবর্তন করছে। তারা যে জিনিস দিয়ে নাশকতা করছে সেগুলোরও পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। এখন যারা যাত্রীবেশে চোরাগোপ্তা হামলা কিংবা নাশকতা করছে সেটি ১০০ ভাগ নির্মূল করা চ্যালেঞ্জিং। তবে আমাদের চেষ্টা আছে, এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নাশকতাকারীদের গুলি করার কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না ডিএমপি, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো কিছুই আমরা আইনের বাইরে বলিনি। দেশের প্রচলিত আইনেই বলা হয়েছে, কখন কোন পদক্ষেপটি আইনসম্মত। লিখিতভাবে এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমরা নাশকতা রোধে যা-ই কিছু করব তা আইনের মধ্যে থেকে করব।

চতুর্থ দফা অবরোধে নাশকতা প্রতিরোধে ডিএমপির সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত কী নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আইনের সর্বোচ্চ কঠোরতা প্রয়োগ করব। যদি কেউ কোনোভাবে নাশকতা করতে চায় বা জীবন এবং সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় তাদের ধরা হবে ও আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে। ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ৬টি অস্ত্র খোয়া গেছে, সেগুলো উদ্ধার হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, আরও সময় লাগবে।

সর্বশেষ খবর