পর্যটক ভিসায় কানাডা যাওয়ার উদ্দেশে সিলেট থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান ৪৫ যাত্রী। কিন্তু তথ্যগত জটিলতার কারণ দেখিয়ে তাদের বিমানবন্দর থেকে ফেরত দেওয়া হয়। টরেন্টোগামী বিমানে সেই ৪৫ যাত্রীর অফলোডের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গত ৬ নভেম্বরের এ ঘটনাটি ১২ নভেম্বর জানাজানি হয়। গতকাল বিমান বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৬ নভেম্বর রাত ৮টা ২৫ মিনিটে বিমানের ফ্লাইট বিজি৬০৬ যোগে সিলেট থেকে ৭৪ যাত্রী ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন বিমানের টরেন্টোগামী ফ্লাইটের (বিজি৩০৫/৭ নভেম্বর) যাত্রী। সেখানে বলা হয়, বিমানের সিলেট স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা যাত্রীদের ভ্রমণ-সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখতে পান ৪৫ যাত্রী একই ব্যক্তির আমন্ত্রণপত্রের মাধ্যমে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কানাডা যাচ্ছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ডকুমেন্টসমূহ পর্যালোচনা করে সন্দেহ হওয়ায় সিলেট স্টেশন থেকে তাদের ডকুমেন্ট ঢাকায় পাসপোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটে (পিসিইউ) পাঠানো হয়। ওই ইউনিট ডকুমেন্টসমূহ যাচাইবাছাইয়ের জন্য দিল্লির কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির (সিবিএসএ) কাছে পাঠালে প্রথমে তারা জানায় সিবিএসএ-এর সিস্টেমে তালিকায় যাত্রীর তথ্য সঠিক রয়েছে। ফলে সিলেট থেকে যাত্রীদের বোর্ডিং কার্ড ইস্যু করা হয় এবং তারা ঢাকায় পৌঁছান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এরই মধ্যে সিবিএসএ থেকে আবার জানানো হয় যাত্রীদের আমন্ত্রণপত্রের তথ্যের সঙ্গে থাকার (আবাসন) বিষয়ে সিস্টেমে গরমিল রয়েছে। তাদের আমন্ত্রণপত্রে হোটেলে থাকার কথা উল্লেখ থাকলেও যাত্রীদের কাছে রেন্টেড হাউসের ডকুমেন্ট পাওয়া যায়। কানাডিয়ান আইন অনুযায়ী, একটি রেন্টেড হাউসে ৪৫ যাত্রী থাকার কোনো নিয়ম নেই এবং তা ফায়ার কোড ভায়োলেশন বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়। যাত্রীদের ডকুমেন্টগুলো ও কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির বার্তা পর্যালোচনা এবং ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ৪৫ যাত্রীকে ৭ নভেম্বর টরেন্টো ফ্লাইট থেকে অফলোড করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাত্রীদের হোটেল অফার করা হলে তারা হোটেলে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। টরেন্টো ফ্লাইটে না পাঠানোর বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হলে তারা বিষয়টি অনুধাবন করেন। পরবর্তী সময়ে ইমিগ্রেশন থেকে তাদের বহির্গমন সিল বাতিল করে ব্যাগেজ বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং তারা নিজেদের মতো বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।