দেশের মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কাপুরুষোচিত আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২-দলীয় জোটের নেতারা। অচিরেই আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে হবে। গতকাল অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর বিজয়নগরে মিছিল-পরবর্তী এক সমাবেশে জোট নেতারা এসব কথা বলেন। এর আগে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে পল্টন, বিজয়নগর এলাকায় মিছিল করে ১২ দলীয় জোটের নেতারা। জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দেশের মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কাপুরুষোচিত আচরণ করছে। তারা একদিকে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে, অন্যদিকে নিত্যপণ্যের বাজারে একের পর এক সিন্ডিকেটবাণিজ্য করে নিজেদের পকেট ভারী করছে। দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়ভার নেই। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার জুলুমবাজ সরকার।

জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। জনগণ এখন প্রস্তুত এদের বিদায় করার জন্য। জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন শ্রীমতির পাঠশালায় পরিণত হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থার অন্তিম যাত্রা শুরু থেকে এখন ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়ে। তাই দেশবাসী মনে করে আওয়ামী লীগ দেশ ও জনগণের জন্য একটি আগাছা দলে পরিণত হয়েছে। অচিরেই আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে হবে। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ।