শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেদিন আমি রুখে দাঁড়িয়েছিলাম

-বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ‘পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মা-বোনের ইজ্জত বাঁচিয়েছি। আজকে হয়তো অনেকের গায়ে লাগে না। বঙ্গবন্ধুর লাশ যখন পড়ে ছিল তখন কিন্তু অনেক নেতা ইঁদুরের গর্তে লুকিয়ে ছিল। এই কাদের সিদ্দিকী সেদিন রুখে দাঁড়িয়েছিল।’

গতকাল বিকালে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার তক্তারচালা বাজারের উত্তর পাশে গামছা মার্কার পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন ‘যারা ইসলামের নামে দালালি করে আলেম নামে কুলাঙ্গার, আমি তাদের ছেড়ে দিতে বলছি না। প্রকৃত আলেম যারা জেলে বন্দি আছেন অনতিবিলম্বে তাদের মুক্তি দিন। দেশের সঠিক আলেমদের জেলে রাখার আপনাদের কোনো অধিকার নাই।’

স্থানীয় ভোটারদের উদ্দেশ করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এই গামছা মার্কা কিন্তু আমার না, সখীপুর-বাসাইলের মানুষের। আমার বিশ্বাস আমি যদি আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকি তাহলে আপনারাও আমার পাশে থাকবেন। ৭ জানুয়ারি নিজেদের মার্কা গামছায় ভোট দেবেন।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসে নাই এটা কোনো অন্যায় না। তারাও রাজনীতি করে। ইচ্ছা হলে নির্বাচনে অংশ নেবে, ইচ্ছা হলে নেবে না। এর জন্য তাদের হেরাজ (হয়রানি) করলে কোনো ছাড় নাই। মামলা নাই শুধু রাজনীতি করে বলে কোনো বিএনপি নেতাকে যেন হেরাজ না করা হয়। যদি কোনো বিএনপি নেতা খুনখারাবি করে, কাউকে মারধর করে তাহলে তাকে ধরে নিয়ে যান। এ ছাড়া কোনো বিএনপি নেতা-কর্মীকে থানায় ধরে নিলে আমি কিন্তু থানার সামনে গিয়ে দাঁড়াব। তাকে না ছাড়া পর্যন্ত থানা থেকে সরব না।’

এ সময় বিধূভূষণ সরকারের সভাপতিত্বে বেগম নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার কুঁড়ি সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব, কেন্দ্রীয় যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিবুন্নবী সোহেল, দলীয় নেতা হাসান মিয়াসহ বিভিন্ন নেত-কর্মী বক্তৃতা করেন।

সর্বশেষ খবর