সোমবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

৩১ আসনে ৪১ প্রার্থীর ভোট বর্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ আসনে ৪১ প্রার্থীর ভোট বর্জন

দেশব্যাপী ৩১ আসনে ৪১ জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ভোটে অনিয়ম, কারচুপি, জাল ভোট, পোলিং এজেন্টদের মারধর করে ভোটকক্ষ থেকে বিতাড়ন, সমর্থকদের ওপর হামলা ও প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগে বর্জনের ঘোষণা দেন তারা। এসব অভিযোগে গতকাল দিনভর সংবাদ সম্মেলন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভের মাধ্যমে প্রার্থীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নেই দাবি করে ভোট স্থগিত ও পুনঃগ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন এসব প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আছেন। কারচুপি ও পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগে গতকাল বিকালে ফেসবুকে এসে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন মৌলভীবাজার-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এম এম শাহীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ সলমান। সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বয়কট করেন কুষ্টিয়া-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার। অনিয়ম ও প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ এনে কুমিল্লায় ভোট বর্জন করেন পাঁচ প্রার্থী। তারা হলেন- কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাঈম হাসান ও জাতীয় পার্টির আমির হোসেন, কুমিল্লা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনতাকিম আশরাফ টিটু এবং জাতীয় পার্টির লুৎফর রেজা খোকন এবং কুমিল্লা-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান। নির্বাচন বর্জন করেন নড়াইল-১ আসনের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী শেখ নজরুল ইসলাম এবং নড়াইল-২ আসনের একই দলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান। সিলেট-২ আসনে নির্বাচন বর্জন করেন গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহিয়া চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ আবদুর রব ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান (ট্রাক)। সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সেলিম উদ্দিন এবং সিলেট-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন ভোট বর্জন করেন। শরীয়তপুর-২ আসনের বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বুলু নির্বাচন বয়কট করেন। ভোট বর্জন করেন কক্সবাজার-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম, কক্সবাজার-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ এবং কক্সবাজার-৪ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল মার্কার নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো ভোট বর্জন করেন। টাঙ্গাইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু জালভোট ও এজেন্টদের মারধরের কথা এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। ভোলা-৩ আসনে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন। নির্বাচন বর্জন করেন পাবনা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। পাবনা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব বিশ্বাস নির্বাচন বর্জন করেন। বাগেরহাট-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামিল হোসাইন ভোট বর্জন করেন। ঠাকুরগাঁও-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের মো. রেজাউর রাজী স্বপ্ন চৌধুরী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। লালমনিরহাট-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ভোট বর্জন করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে বিএনএম প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল মতিন ভোট বর্জন করেন। কেন্দ্র দখলের অভিযোগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান যশোর-১ শার্শা আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন। নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল মারার অভিযোগকে কেন্দ্র করে সমর্থক নৌকা ও জাতীয় পার্টির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর ভোট বর্জন করেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলমগীর সিকদার। এজেন্ট বের করে দেওয়া ও সমর্থকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগে নির্বাচন বয়কট করেন ঢাকা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হাবিবুর রহমান। খুলনা-৩ আসনে নির্বাচন বর্জন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতিমা জামান সাথী। ময়মনসিংহ-১০ আসনে ভোট বর্জন করেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. আবুল হোসেন দীপু ও অ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ। কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ কে এম সাইফুর রহমান বাবলু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মজিবুর রহমান নির্বাচন বর্জন করেন। বরিশাল-৫ ও জামালপুর-৫ আসনে ভোট গ্রহণ স্থগিত চেয়ে পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেন আসন দুটির স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সালাউদ্দিন রিপন ও মো. রেজাউল করিম। একই দাবি জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট।

সর্বশেষ খবর