সোমবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

এজেন্ট নিজেই জানেন না প্রার্থীর নাম

নাসিমুল হুদা, ঢাবি

ঢাকা-৮ আসনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবন ও বিজ্ঞান অনুষদ এলাকা মিলিয়ে পাঁচটি কেন্দ্রে ৩০টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল। আসনটিতে মোট ১১ জন প্রার্থী থাকলেও বুথগুলোতে নৌকা ও ফুলের মালা ছাড়া অন্য প্রার্থীদের কোনো এজেন্ট দেখা যায়নি। এর মধ্যে ফুলের মালার বেশ কয়েকজন এজেন্ট তার নিজের প্রার্থী ও তার দলের নামই শুদ্ধ করে বলতে পারেননি। সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে চারুকলা অনুষদ, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কাজী মোতাহার হোসেন ভবন (সায়েন্স-এনেক্স) ও কার্জন হল ভোট কেন্দ্র সরেজমিন ঘুরে এসব দেখেন এ প্রতিবেদক। এ সময় প্রায় সব কেন্দ্রেই এ ধরনের এজেন্ট দেখা গেছে। উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বুথগুলোতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালার প্রাথী মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানের এজেন্ট ছিল। তবে কেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথে ফুলের মালার প্রতীকের এজেন্টকে প্রার্থীর নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি ‘মুস্তাক’ বলেন। এমনকি দলের নামও বলতে পারেননি তানজীল নামের ওই এজেন্ট।

 ‘নামটি সঠিক নয়’ জানালে কার্ড দেখে শুদ্ধ নাম বলেন তিনি। তাকে কে পাঠিয়েছেন-প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদের নাম বলেন তিনি। এ ছাড়াও একই কেন্দ্রের ৫ নম্বর বুথের ফুলের মালা প্রতীকের এজেন্ট প্রার্থীর নাম বলতে পারলেও কোন দল থেকে নির্বাচন করছেন, সেটি বলতে পারেননি।

কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের (সায়েন্স-এনেক্স) পুরুষদের একটি বুথের ফুলের মালার প্রতীকের এজেন্ট রুমেন রায় প্রার্থীর নাম জানলেও তিনি ‘স্বতন্ত্র’ থেকে নির্বাচন করছেন বলে জানান। পরে কার্ড দেখে দলের নাম বলতে পারেন। ১ নম্বর বুথের এজেন্টও প্রার্থীর নাম ভুল বলেন। এমনকি তিনি কোনো দলের প্রার্থী তাও বলতে পারেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. দুলাল মিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের কাছে প্রার্থীরা এজেন্টের তথ্যসহ চিঠি পাঠালে আমরা তাদের পরিচয়পত্র দিয়ে বুথে থাকার অনুমতি দিই। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে। এ ছাড়াও ক্যাম্পাসের মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন জায়গায় জটলা পাকিয়ে আড্ডা দিতে দেখা গেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের।

এদিকে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে চারুকলার মূল গেটের বাইরে একটি কৃত্রিম লাইন তৈরি করতে দেখা যায়। তৈরির পর ছবি তুলে সেটি আবার ভেঙে ফেলাও হয়। লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজন যুবকের গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝোলানো দেখা যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. কুদরত আলী বলেন, গেটের বাইরে এরকম হয়ে থাকলে সেটা আমার আওতায় নয়।

সর্বশেষ খবর