পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনকে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ বেগম ড. জেবুন্নেছা তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ২ নভেম্বর জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুদকের মামলায় ২৩ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন নাছির উদ্দিন। আদালত তাকে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা দেন। ৮ জানুয়ারি সেই আট সপ্তাহ পার হয়ে যায়। তবে এ দিন তিনি মহানগর দায়রা জজ আদালতে বেইলবন্ড দেন। গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলা নথি সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানাধীন চাতরী গ্রামের মৃত শেখ মোহাম্মদের ছেলে নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মাত্র ২৩০ টাকা বেসিক বেতনে পিয়ন পদে চাকরিতে যোগ দিয়ে অবৈধভাবে ২ কোটি ৫৬ লাখ ২৮ হাজার ৮৬ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ২ কোটি ১১ লাখ ৭১ হাজার ১৩০ টাকার অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ মামলা করেন সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মো. সবুজ হোসেন।
জানা যায়, প্রথমে অস্থায়ী ‘সিকিউরিটি গার্ড’ পদে পদ্মা অয়েল কোম্পানিতে যোগদান করলেও পরে ১৯৮৬ সালের ২৩ আগস্ট ২৩০ টাকা বেসিক বেতনে ‘পিয়ন’ পদে চাকরি নিয়মিত হয় তার। ২০১৪ সালের ‘ট্যাংকলরি হেলপার’ থেকে ‘চেকার’, পরের ছয় মাসের মাথায় ‘সুপারভাইজর’ হিসেবে পদোন্নতি পান।
