রবিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সাজ্জাদের আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি চান প্রবাসীরা

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

জর্জিয়ায় বসবাসকারী ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশি সাজ্জাদ হাসানের (৪১) আত্মহত্যার ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে পারেননি তার স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবরা। তারা এ ঘটনার জন্য যে বা যারা মূলত দায়ী- তাদের শাস্তি দাবি করেছেন।

১৯ জানুয়ারি জুমার নামাজের পর লরেন্সভিলে ইসলামিক সেন্টার জামে মসজিদে সাজ্জাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার সন্তান সাজ্জাদকে এ দিনই আটলান্টার বেথেলহ্যাম মুসলিম কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় অংশ নেওয়া ৭ শতাধিক প্রবাসী এ ঘটনার জন্য ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তাদের কথা, আত্মহত্যার মতো কঠিন সিদ্ধান্তের নেপথ্যে যারা রয়েছেন- তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং সাজ্জাদের আত্মহত্যার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জর্জিয়া স্টেটের টাকের সিটিতে বাস করতেন। ২০১৯ সাল থেকে জর্জিয়া পাওয়ার কোম্পানিতে সিনিয়র ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতেন। গত ১৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় আটলান্টার পুলিশ সাজ্জাদের লাশ উদ্ধার করে। সে সময় সাজ্জাদের হাতে লেখা একটি চিরকুটও পায় তারা। সেটিকে পুলিশ ‘সুইসাইড নোট’ হিসেবে সংরক্ষণ করছে। কী লেখা রয়েছে তাতে- জানা যায়নি।

জানাজায় অংশ নেওয়া এই স্টেটের সিনেটর শেখ রহমান জানান, ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদের সঙ্গে তার কয়েক মাস আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎ ঘটেছিল। সঙ্গে ছিল তার শিশু দুই সন্তান ও স্ত্রী। তিনি বলেন, সুদর্শন ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদের ‘সুইসাইড নোট’ থেকে অজানা অনেক কিছুই হয়তো জানা সম্ভব হবে। জানাজায় অংশ নেওয়া ৮০ বছর বয়সী সাজ্জাদের বাবা বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান এই আটলান্টায় যে ব্যক্তিটিকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করতেন, সেই ব্যক্তিটি সাজ্জাদের প্রাণ সংহারের কারণ হতে পারেন।’

জানা গেছে, গত বছরের আগস্টের শেষার্ধে সাজ্জাদের স্ত্রী এমা তানজিমের পরকীয়া ধরা পড়েছিল নিকটজনের কাছে। তা গণমাধ্যমে প্রকাশও পেয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে মনোকষ্টে ছিলেন সাজ্জাদ। ধারণা করা হচ্ছে, শতচেষ্টা করেও হয়তো স্ত্রীকে ফেরাতে সক্ষম না হওয়ায় এমন চরম একটি পথে পা বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ।

সর্বশেষ খবর