রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদে অভিযান চালিয়ে ৪১ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবাসহ তিন চক্রের নয়জনকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি)। জব্দ ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। গ্রেফতাররা হলেন মামি-ভাগনে মুমিনা খাতুন (৪৪), আলী হায়দার রাব্বী (২৭); চার চাকমা ওমং তইন চাকমা (৪০), পাইয়াদীবী চাকমা (১৯), বামাংথাই চাকমা (২৯), কেরামা চাকমা (৩৫) এবং তিন কাভার্ড ভ্যান চালক দিদার হোসেন (২৫), জাহাঙ্গীর আলম (২৪), মনির হোসেন (২৩)। চার চাকমা কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বাসিন্দা। এদিকে রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৬২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি জানান, ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে ২১ হাজার ৪৯১ পিস ইয়াবা, ১৪২ গ্রাম হেরোইন, ৫ কেজি ৯৬০ গ্রাম গাঁজা ও ২ লিটার বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪৪টি মামলা হয়েছে।
ডিএনসি ঢাকা মেট্রো উত্তর বলছে, সম্প্রতি মাদক কারবার ও ইয়াবা পাচারে নিত্যনতুন কৌশল হিসেবে চাকমাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা কক্সবাজার থেকে মাদক সংগ্রহ করে পাহাড়ি দুর্গম রুট ব্যবহার করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছে। রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে গতকাল দুপুরে ডিএনসি মেট্রো উত্তর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান সংস্থাটির ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, ডিএনসির একাধিক সার্কেলের সমন্বয়ে একটি চৌকশ টিম যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদে অভিযান চালিয়ে চাকমা জনগোষ্ঠীর চারজনসহ নয়জনকে আটক করে। জব্দ করে প্রায় ৪২ হাজার পিস ইয়াবা। মিয়ানমার থেকে তারা ইয়াবার চালান সংগ্রহ করে। এরপর কক্সবাজার থেকে বান্দরবান, খাগড়াছড়ির পাহাড়ি পথে ঢাকায় আনা হয়। রাজধানীর আবদুল্লাহপুর ও গাজীপুরের চন্দ্রা হয়ে উত্তর জনপদের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল।পাটোয়ারী জানান, চাকমা জনগোষ্ঠীর চারজন রাঙামাটি ও বান্দরবান কেন্দ্রিক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য। ঢাকার সিন্ডিকেটের সঙ্গে আঁতাত করে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। মুমিনা খাতুন ও রাব্বী যশোরকেন্দ্রিক ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্য। সম্পর্কে তারা মামি-ভাগনে। তাদের কাছ থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। তারা টেকনাফ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে যশোরে সরবরাহ করত।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দিদার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ও মনির হোসেন পেশায় ট্রাকচালক। তাদের কাছ থেকে ২৮ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।