শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ধর্ষণের পর হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইব্রাহীম মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ ছাড়া যশোরে আলিয়া মাদরাসার শিক্ষককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে দুই পা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি রাব্বিকে গ্রেফতার করেছে সংস্থাটি। র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি খান আসিফ তপু বলেন, চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত শরীয়তপুরের ডামুড্যা এলাকায় এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইব্রাহীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নেত্রকোনার কেন্দুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-২ এবং র‌্যাব-১৪। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাজার এলাকার ৫৫ বছর বয়সী এক নারী। নিখোঁজের তিন দিন পর ২১ এপ্রিল বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের বড় নওগাঁর আবদুর রহমান মাস্টারের বাড়ির পূর্ব পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে ওই নারীর হাত ভাঙা ও মাথায় আঘাতের ক্ষত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরবর্তীতে ওই নারীর ছোট ভাই লাল মিয়া সরদার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর আসামিদের মধ্যে নিজাম বালী, ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলী গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ইব্রাহীম মোল্লাসহ পাঁচজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এরপর থেকে আসামি ইব্রাহীম দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিলেন। যশোরের কোতোয়ালি থানার আরবপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর আলিয়া মাদরাসার শিক্ষককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে দুই পা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, যশোরের আইডিয়াল সিটি মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও উপশহর আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক আবদুল মালেকের (৫৫) কাছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা চাওয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইডিয়াল সিটি মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আবদুল মালেক থানায় মামলা করেন। এ জন্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে গত ২৯ ডিসেম্বর এশার নামাজের পর আরবপুর দীঘিরপাড়া মসজিদের সামনে থেকে আবদুল মালেককে ধরে নিয়ে যায় স্থানীয় ৭-৮ জন সন্ত্রাসী। তাকে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দুই পা মারাত্মকভাবে জখম করে। স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আবদুল মালেককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। গত ১৭ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আবদুল মালেকের ছেলে বাদী হয়ে যশোরের কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় দেশব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ায় আলোচনার সৃষ্টি হয়।

সর্বশেষ খবর