শিরোনাম
শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

এ এম এস কিবরিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী, ১৯ বছরেও বিচার না হওয়ায় হতাশা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৫ সালের এই দিনে তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নির্মমভাবে নিহত হন। দিনটি উপলক্ষে ঢাকা ও হবিগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক র‌্যালি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা। কিবরিয়া স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন এই কর্মসূচি পালন করবে। এ ছাড়া ঢাকার বনানীতে তার কবরে আজ বেলা ১১টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে কিবরিয়া পরিবার। পরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, ১৯ বছরেও শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার বিচার না হওয়ায় হতাশ তার পরিবার। এ ব্যাপারে এক ভিডিও বার্তায় হত্যা রহস্য উদঘাটন ও বিচারের দাবি জানান তার ছেলে অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ওয়াজেদের দেশে যে আইনের শাসন নেই এটিই প্রমাণ হয় অদ্যাবধি শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার একটি সুষ্ঠু তদন্ত এবং সুষ্ঠু বিচার হয়নি। বিরোধী দল বিএনপির কিছু নিরীহ মানুষকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। যাদের অনেকে এই মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না। তাদের এই মামলায় অন্যায়ভাবে জড়ানো হয়েছে। আসল খুনিরা এখনো হবিগঞ্জে আছে এবং ক্ষমতাধর। প্রধানমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় তারা খুব ভালোই আছে। হবিগঞ্জের মানুষ মোটামুটি সবাই জানেন কারা এই হত্যাকাণ্ডে দোষী। এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার বিচারযন্ত্রে আমরা কোনো বিচার পাব এই আশা করি না। এ রকম শত শত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার মানুষ পাচ্ছেন না। একদিন পাবেন। আর তখন যারা খুনি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই আশাবাদ করছি।

অপরদিকে, কিবরিয়া হত্যার বিচার বিলম্ভে হতাশা প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও হবিগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খানও। মামলার আসামিরা বিভিন্ন কারাগারে থাকা এবং সাক্ষীদের উপস্থিতি না হওয়ায় বিচারে বিলম্ভ হচ্ছে বলে জানান সিলেটের পিপি অ্যাডভোকেট সারোয়ার আহমেদ আব্দাল। তিনি বলেন, বর্তমানে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলার বিচার চলছে। উভয় মামলায় ১৭৩ জন সাক্ষীর মাঝে ৪৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষী না যাওয়ায় দিনের পর দিন তারিখ পড়ছে, কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না মামলা দুটির।

সর্বশেষ খবর