নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলের বাগপাড়া এলাকায় একটি টিনশেডের বাসায় জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে দগ্ধ জান্নাতি আক্তার ও রহিমা বেগম নামে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোরে জান্নাতি আক্তার ও গত সোমবার রহিমা বেগম ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান। একই ঘটনায় আরও দুজন একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল বিকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, দগ্ধ অবস্থায় চারজন এ ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। এদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। আরও দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার ভোরের দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১৫ শতাংশ দগ্ধ হওয়া জান্নাতি আক্তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। একই ঘটনায় সোমবার রহিমা বেগমও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রহিমা আক্তারের শরীর ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ২৪ জানুয়ারি রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বাগপাড়া এলাকায় টিনশেডের একটি বাসায় গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের এক শিশুসহ সাতজন দগ্ধ হন। এরা হলেন- সুখী আক্তার (৩০), ২৫ দিনের কন্যা মুনতাহা, তার বড় কন্যা সাদিয়া আক্তার (১১), বোন জান্নাতি আক্তার (১৬), ভাই আরিফ হাওলাদার (২১), ফুফাতো বোন রহিমা বেগম (৩৫), রহিমার কন্যা রিতু (১৪)। এদের মধ্যে দুই দিনের ব্যবধানে জান্নাতি আক্তার ও রহিমা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন।