পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে বিচারব্যবস্থা অত্যন্ত স্বাধীন। শ্রমিক-কর্মচারীরাই ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ওয়াশিংটন পোস্টে নিউজ নয়, সেখানে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। কোনো অফিস ফার্মের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে ছাপা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ১৪টি দেশের অনিবাসী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় ড. ইউনূসকে নিয়ে প্রকাশিত একটি বিবৃতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, এ রকম বিজ্ঞাপন আগেও ছাপানো হয়েছে। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের প্রতি যথাযথ সম্মান এবং শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই- বাংলাদেশে বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ বিধায় সরকারি দলের অনেককে বিচারের সম্মুখীন হতে হয়, জেলেও যায় এবং ইউনূস সাহেবের এ মামলায় সরকার কোনো পক্ষ নয়।

ড. ইউনূস সাহেবের প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীরা বলছে তারাই তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় রায় হয়েছে, এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয়।

নর্থ মেসিডোনিয়া, বোতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, চেক রিপাবলিক, গাম্বিয়া, হাঙ্গেরি, জ্যামাইকা, লুক্সেমবার্গ, মঙ্গোলিয়া, পেরু, স্লোভাক রিপাবলিক, স্লোভেনিয়া, উরুগুয়ে ও ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা সৌজন্য সাক্ষাতে যোগ দেন। সাক্ষাৎ শেষে তাদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে দুপুরে সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে এবং বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে।