শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

তিন পাহাড়ে চলছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পিঠা উৎসব

রাঙামাটি প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ১০ ভাষাভাষী ১২টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পিঠাপুলির উৎসব শুরু হয়েছে। রাঙামাটি মারি স্টেডিয়ামে তিন দিনব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবের নাম ‘ফুড অ্যান্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল’। গতকাল ছিল এ উৎসবের দ্বিতীয় দিন। বিকাল ৩টা থেকে জমতে থাকে মেলার উৎসবস্থল। নানা রঙে, বাহারি সাজে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চ্যাঙ্গা, খুমি, খীয়াং, বম, ম্রো, চাক, রাখাইয়ন, গুর্খা ও আসীম তরুণ-তরুণীরা অংশ নেন পিঠাপুলির উৎসবে। পিঠাপুলির উৎসবের পাশাপাশি মেলাজুড়ে চলছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নাচ আর গান। এরই মধ্যে মেলাস্থল পরিদর্শন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান, রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান ও রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।

মেলায় বসেছে প্রায় ১৬টি স্টল। প্রতিটি স্টল সাজানো হয় ভিন্ন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী খাবার আর বিভিন্ন ডিজাইনের নৃ-গোষ্ঠীর পরিধানের বস্ত্রে। বস্ত্রের আকর্ষণ আর গহনায় মন কাড়ছে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের। মিলছে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়া বম, খুমি, খীয়াং ও ম্রো সম্প্রদায়ের ব্যবহারিক নানা সরঞ্জাম। তাই দাম যাই হোক ঘর সাজাতে এগুলো ক্রয় করছেন অন্যান্য সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা।

মেলায় এসে উৎফুল্ল পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, এটি শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেলা নয়, এটি সব জাতি গোষ্ঠী ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রদায়ের মিলনমেলা। এ মেলা উৎসবের মধ্যদিয়ে ছড়িয়ে পড়বে পাহাড়ে বসবাসরতদের সংস্কৃৃতি। মেলবন্ধন রচিত হবে পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে।

একইভাবে আনন্দ প্রকাশ করেন রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন দেখা যায় শুধু পাহাড়ে। এখানে বহু জাতি গোষ্ঠীর বসবাস। তাদের মতো সম্প্রীতি এমন চিত্র অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, সম্প্রীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে উৎসব। উৎসবে মিলন হয় ঐক্যের। এ পিঠাপুলির মেলার মধ্যদিয়ে পাহাড়ের সংস্কৃতি সমৃদ্ধশালী হবে।

রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. মীর আবু তৌহিদ বলেন, ফুড অ্যান্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালের আকর্ষণে অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক ও দর্শনার্থী রাঙামাটি এসেছেন। তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য উৎসবস্থলে পুলিশের একটি বিশেষ দল মোতায়েন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর