রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) জন্য ভূমি অধিগ্রহণের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও নানা জটিলতায় অধিগ্রহণ শুরুই করতে পারেনি রাজশাহী জেলা প্রশাসন। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণের আগেই নতুন ভবন নির্মাণ নকশা বাবদ খরচ হয়ে গেছে ৩ কোটি টাকা। এ বাবদ আরও ২ কোটি টাকার বিল দাখিল করেছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া নিয়োগকৃত প্রকিউরমেন্ট পরামর্শকের বেতন বাবদ খরচ হয়েছে ২৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা। একই সঙ্গে ৪ হাজার টাকা হারে ৬৬টি ভ্রমণভাতা (টিএ) বাবদ খরচ হয়েছে আরও ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ ডিজাইন ও পরামর্শক বাবদ খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ ৯২ হাজার টাকা। জানা যায়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ডিপিপি ২০০৬ পিপিআর ২০০৮ অনুযায়ী কোনোমতেই ভূমি অধিগ্রহণের আগে প্রকিউরমেন্ট পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ভূমি অধিগ্রহণের আগেই ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর রেজাত হোসেন রিটুকে প্রকিউরমেন্ট পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে ভূমি অধিগ্রহণের সময়সীমা শেষ হয় গত বছরের নভেম্বরে।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রকিউরমেন্ট পরামর্শক রেজাত হোসেন রিটুর দায়িত্ব হলো রামেবির নতুন ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত কার্যক্রম করা। সেই হিসেবে ভূমি অধিগ্রহণের পর ভূমির ম্যাপ দেখে তিনি পরামর্শ দেবেন। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ না হতেই এরই মধ্যে রিটুর পরামর্শে নকশা করা বাবদ ৩ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ২ কোটি টাকার বিল দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জমি না বুঝে পেতেই তারিক হাসান অ্যাসোসিয়েটকে দিয়ে প্রাথমিক ডিজাইন করা হয়েছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রকিউরমেন্ট পরামর্শক রেজাত হোসেন রিটু কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘যা কিছু বলার ভিসি স্যার বলবেন।’রামেবি উপাচার্য ডা. এ জেড এম মোস্তাক হোসেন বলেন, ‘পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী। সেখানে কোনো অনিয়ম হয়েছে বলে আমার জানা নেই।