মাদক মামলায় যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানের পরিবর্তে মিরাজুল ইসলামের সাজা খাটার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে (আইও) তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি আতাউর রহমানের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে উত্তরার একটি বাসায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে আটক করে। তবে পালিয়ে যান মাদক চক্রের মূল হোতা নাজমুল হাসান। এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে মামলা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। বিচারে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় পলাতক নাজমুল হাসানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। নাজমুল ঢাকার উত্তরার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা। কিন্তু এই পরিচয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে যিনি জেল খেটেছেন, তার প্রকৃত নাম মিরাজুল ইসলাম। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদ হাই কোর্টের নজরে আনেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

পরে মনজিল মোরসেদ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আসামি টাকার বিনিময়ে অন্যকে দিয়ে জেল খাটান এবং আইনি সব প্রক্রিয়া তাকে দিয়ে ফেস করান- যাতে তার কোনো সমস্যা না হয়। তার সাত বছর সাজা হওয়ার পর তিনি মিরাজুলের সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে চুক্তি করে তাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করান। এরপর তিনি জামিন নেন, জামিন শুনানি আপিলে আসে। ঘটনাটি আদালতের নজরে এনেছি।