বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সে দোকান বরাদ্দে দুর্নীতি দুদকের চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স ভবনের ১৫৮ দোকান বা স্পেস বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চার্জশিটে গুলিস্তান কমপ্লেক্স ভবনের প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও মেসার্স ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের দুই পরিচালককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন গুলিস্তান কমপ্লেক্স ভবনের প্রতিষ্ঠানপ্রধান মাহমুদ পারভেজ জুয়েল এবং মেসার্স ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের দুই পরিচালক জিয়াউল আহসান ও গোলাম মোস্তফা কামাল।

মঙ্গলবার আদালতে দুদকের উপপরিচালক অজয় কুমার সাহা এ চার্জশিট দাখিল করেন। এর আগে ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।

দুদকসূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বৈধ ক্ষমতাপ্রাপ্তদের বাদ দিয়ে অন্যদের ১৫৮টি দোকান কিংবা স্পেসের বরাদ্দ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের আওতাধীন গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের ১৫৮টি দোকানের মধ্যে জিয়াউল আহসান ১০১টি, গোলাম মোস্তফা কামাল ৪৯টি ও মাহমুদ পারভেজ জুয়েল ৮টি দোকানের সালামি চুক্তি ছাড়াই দোকান বা স্পেস ভাড়া চুক্তির মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়েছেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ২০০১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মেসার্স দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে গুলিস্তান কমপ্লেক্সের ০.৬১৪ একর জমির ওপর ‘নির্মাণ ও হস্তান্তর’ পদ্ধতিতে ২০ তলা ভবন নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ দেয়। ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম আলাউদ্দিনের সঙ্গে কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষে মহাব্যবস্থাপক খন্দকার ফজলুল হক ২০০১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি মূল চুক্তিপত্র ও ২০০৬ সালের ২৬ জুলাই সম্পূরক চুক্তি সম্পাদন করেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত নির্মাণকাজ চলে। দুটি বেসমেন্টসহ ১১ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়। এরপর ডেভেলপার কোম্পানি নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়।

জানা যায়, ২০১২ সালের ৩ জানুয়ারি নির্বাহী কমিটির ২১তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডেভেলপার কোম্পানিকে সাত দিনের মধ্যে নির্মাণকাজের বিষয়ে জানাতে নোটিস দেওয়া হয়। ২০১২ সালের ১০ জুলাই মেসার্স দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের সঙ্গে সম্পাদিত মূল ও সম্পূরক চুক্তিপত্র বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের স্পেস বরাদ্দ ও সালামি চুক্তি সম্পাদনে একমাত্র বৈধ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এ এস এম আলাউদ্দিন। কিন্তু ১৫৮টি দোকান কোনো বরাদ্দপত্র বা সালামি চুক্তি ছাড়াই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর