রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

মিয়ানমার চাচ্ছে যুদ্ধ করতে

র‌্যাব মহাপরিচালক

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

র‌্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, মিয়ানমার অনেক আগে থেকেই চাচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য। রোহিঙ্গা ঢোকানো থেকে শুরু করে পায়ে পাড়া দিয়ে রাজনৈতিক উসকানি দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় মনোভাবের কারণে এটা থেকে রক্ষা পেয়েছি। এখন যুদ্ধে যাওয়া মানে দেশটা শেষ হয়ে যাওয়া। মিয়ানমারে এখন সামরিক সরকার রয়েছে। আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের যুদ্ধ চলছে। তাই ওরা আমাদের সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। গতকাল দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার এম এ খালেক ডিগ্রি কলেজ মাঠে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন র‌্যাব-৬ অধিনায়ক লে. কর্নেল ফিরোজ কবির। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, কলেজের অধ্যক্ষ কে এম মাহাবুব, ভাটিয়াপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম তালুকদার। মিয়ানমার মাদক চোরাচালানের প্রধান রুট উল্লেখ করে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, এটি এখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিতভাবে পাঠানো হচ্ছে। আমরা জাল ফেলে রেখেছি, মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় গ্যাংস্টারকে জালের মধ্যে ফেলেছি, আমরা কিছু করতে পারব। যে কোনো মূল্যে মিয়ানমার রুট বন্ধ করা হবে। গডফাদার, কিশোর গ্যাং কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

এম খুরশীদ হোসেন আরও বলেন, মাদক হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা। রাতারাতি ধনী হওয়ার ব্যবসা। এটা জনপ্রতিনিধিসহ সবাই জানে। বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী রয়েছেন। কোনো একক বাহিনীর পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। মাদক নির্মূল করতে হলে সবাই মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

র‌্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে যদি মাদক চলে যায়, সর্বনাশ হয়ে যাবে। এটা একটা জাতিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা। নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে শুধু বই-খাতা দিলে হবে না। শুরু থেকেই বাচ্চাদের গড়ে তুলতে হবে। মূল নীতি-নৈতিকতা পরিবার থেকে শিখতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের মূল ভূমিকা রয়েছে ও এরপর শিক্ষকদের। যাতে যুব সমাজ বা নতুন প্রজন্ম অবাধ্য হয়ে না যায়।

 

সর্বশেষ খবর