বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাড্ডায় জোড়া অস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সহযোগী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাড্ডায় দুটি অস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সহযোগী গ্রেফতার হয়েছেন। তিন সন্ত্রাসীর কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে বিদেশি অস্ত্র-গুলি। রবিবার রাতে বাড্ডায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার ও ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে বাড্ডা থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল এসব তথ্য জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির বাড্ডা থানার এসআই সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি বাড্ডা থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান গ্রুপের অনুসারী তিনজনকে ৫ রাউন্ড গুলি, একটি মোবাইল ফোন, একটি মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ওই তিনজন হলেন আমজাদ হোসেন সোহেল ওরফে চাকু সোহেল, মহিউদ্দিন মহি ও মো. জাহিদুল ইসলাম।

তাদের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। একটি দস্যুতা চেষ্টার, অন্যটি অস্ত্র আইনে। আদালতের মাধ্যমে তাদের দুই দিনের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এসআই সাইফুল বলেন, চাকু সোহেলের মোবাইল ফোনে একটি অস্ত্রের ছবি দেখা যায়। এ ছবি কেন্দ্র করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। ছবিতে দেখা যাওয়া রিভলবার প্রথমে পাওয়া যায়নি। পরে চাকু সোহেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর সে জানায় পিস্তলটি মোহাম্মদ রহিমের কাছে রয়েছে; যিনি আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবুল বাশার বাদশার একনিষ্ঠ সহযোগী। বাদশা বাড্ডা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সেক্রেটারি। রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে তিনি সন্ত্রাস ও অস্ত্রের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর রহিম হচ্ছেন বাদশার অস্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণকারী। পলাতক বাদশা ও রহিমকে ধরতে অভিযান চলছে।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা বাড্ডা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের পরিচয়ে সন্ত্রাসে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি। অনেক সন্ত্রাসী পুলিশের ভয়ে বাড্ডা ছেড়ে পালিয়েছে। বাড্ডায় আন্ডারওয়ার্ল্ড সন্ত্রাসীদের আধিপত্য গুঁড়িয়ে দিতে যা যা করা লাগবে পুলিশ তা-ই করবে।’

জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান গ্রুপ, মেহেদী বা কলিন্স গ্রুপ, বহুল আলোচিত মিল্কি হত্যা মামলার আসামি চঞ্চল গ্রুপ, ডালিম রবিন গ্রুপসহ আন্ডারওয়ার্ল্ডের বহু গ্রুপ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি, অস্ত্র কেনাবেচাসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসে লিপ্ত।

সর্বশেষ খবর