চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, চরমোনাই মাহফিল দুনিয়াবি উদ্দেশ্যে নয় বরং পথভোলা মানুষকে আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই এ মাহফিল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এখানে আসার প্রয়োজন নেই। যদি এমন কেউ এসে থাকেন তবে নিয়ত পরিবর্তন করে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। গতকাল বাদ জোহর চরমোনাই দরবার শরিফের তিন দিনব্যাপী মাহফিলের উদ্বোধনী বয়ানে এসব কথা বলেন তিনি। পীরসাহেব আরও বলেন, যারা চরমোনাইতে নতুন এসেছেন, তারা দুনিয়ার ধ্যান-খেয়াল বিদায় করে দিয়ে আখেরাতের খেয়াল-ধ্যান অন্তরে জায়গা দেন। দিল থেকে বড়ত্ব এবং আমিত্ব ভাব বের করে দিয়ে আল্লাহর কুদরতি পায়ে নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে।

সদা-সর্বদা আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে দিলকে তরতাজা রেখে আল্লাহর ওলি হয়ে চরমোনাই থেকে বিদায় নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।

তিন দিনব্যাপী মাহফিলের প্রথম দিন গতকাল বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

দ্বিতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশ থেকে আগত ওলামায়ে কেরামদের নিয়ে ওলামা সম্মেলন এবং তৃতীয় দিন শুক্রবার সকালে সারা দেশ থেকে আগত ছাত্র-জনতাকে নিয়ে ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় পীরসাহেব চরমোনাইয়ের আখেরি বয়ান এবং মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের তিন দিনব্যাপী মাহফিল সমাপ্ত হবে।

এবার মাহফিলে আসা মুসল্লিদের মধ্যে দুজন বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তারা হলেন- মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের মো. আজমত শেখ এবং পাবনার মো. নওশের। মাহফিলের মিডিয়া উপকমিটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।