মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

রিভার্জ চুরির ঘটনায় আরসিবিসিসহ দুই কর্মকর্তা জড়িত : স্টেট কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউইয়র্ক ফেড থেকে বাংলাদেশের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় ফিলিপিন্সের ব্যাংক রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন-আরসিবিসিসহ ব্যাংকটির দুই কর্মকর্তা জড়িত বলে রায় দিয়েছেন নিউইয়র্ক স্টেট কোর্ট, ফার্স্ট অ্যাপিলেট ডিপার্টমেন্ট। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক স্টেট কোর্ট, ফার্স্ট অ্যাপিলেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে রায় প্রদান করেছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে পরিচালিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব হতে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির সঙ্গে আরসিবিসি, আরসিবিসির লরেনজো ট্যান এবং রাউল ভিক্টর বি ট্যান ও কিম অং-এর সংশ্লিষ্টতা স্টেট কোর্টের রায়কে ফার্স্ট কোর্ট নিশ্চিত করেছে। ফার্স্ট কোর্টের রায়ে আরও নিশ্চিত করেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সংঘটিত অপরাধের জন্য আলোচ্য বিবাদীদেরকে দায়ী করা যায়।

ফার্স্ট কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আরসিবিসি ও ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষ, লরেনজো ট্যান এবং রাউল ভিক্টর বি ট্যান ও কিম অংকে দায়ী করা যেতে পারে। বিবাদীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরিকৃত অর্থ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল এবং ওই অর্থ ফেরত প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টপ পেমেন্ট অনুরোধ পাওয়া সত্ত্বেও সেই অর্থ বৈদেশিক মুদ্রা ও আরসিবিসির ট্রেজারির মাধ্যমে লন্ডারিং করার সুযোগ করে দিয়েছে বিধায় এ বিবাদীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

অধিকন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টপ পেমেন্ট অনুরোধ পাওয়া সত্ত্বেও আরসিবিসির বেনামি ব্যাংক হিসাব হতে প্রায় ৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার স্থানান্তর করা হয়েছে এবং এটি যে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থ এ বিষয়ে সন্দেহাতীতভাবে আরসিবিসির সবাই অবহিত ছিলেন।

আরসিবিসির ক্ষেত্রে বেনামি হিসাব খোলা, চুরি সংঘটনের জন্য নিউইয়র্কের করেসপন্ডেন্ট হিসাবের ব্যবহার, বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া তহবিল দিয়ে লাভজনক বৈদেশিক বাণিজ্য সংঘটন, হ্যাকাররা আরসিবিসির পক্ষে বা নির্দেশনায় কাজ করেছে প্রভৃতি অভিযোগের বিষয়ে আদালত প্রভাবিত হয়েছে। আদালত বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক যথোপযুক্তভাবে কিম অং-এর বিরুদ্ধে চুরি ও মানি লন্ডারিংসহ ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে। কিম অং-এর দীর্ঘদিনের বন্ধু লরেনজো ট্যান। তিনি আরসিবিসির কর্মকর্তাদের তাঁর (কিম অং) খেয়াল রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন; তিনি বেনামি হিসাব সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং আরসিবিসির বেনামি হিসাবগুলো জমা হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া ডলার ফেরত প্রদানে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। আদালত আরও উল্লেখ করে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থ অবিলম্বে ফেরত চাওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে রাউল ট্যান বিভ্রান্তিকর বার্তা প্রেরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

 

সর্বশেষ খবর