শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

পদ্মা ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গ্রাহকের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রাহকের নামে অনুমোদিত ঋণের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দি ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) গুলশান দক্ষিণ এভিনিউ শাখার ম্যানেজার জর্জ কর্নেলিয়াস গোমেজ ও ক্রেডিট ইনচার্জ রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান এ মামলা করেন।

দুদক বলছে, আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহক বাদশা মিয়ার অনুকূলে অনুমোদিত সিসি হাইপো এসএমই ঋণের ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রাহকের অজান্তেই তার ব্যাংক হিসাব থেকে বিভিন্ন ব্যাংকে ফান্ড ট্রান্সফার করে কৌশলে আত্মসাৎ করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রাহক বাদশা মিয়া মেসার্স শাহী ট্রেডার্সের নামে ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর দি ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান সাউথ এভিনিউ শাখায় হিসাব লেনদেন শুরু করেন। তিনি ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা কম্পোজিট ঋণের জন্য আবেদন করেন। শাখার ঋণ মঞ্জুরির কোনো ক্ষমতা ছিল না। ঋণের জন্য গ্রাহকের আবেদনের পর ভিজিট রিপোর্টিং, কল রিপোর্টিং, স্টক রিপোর্টিং, সার্ভেয়ার রিপোর্টিং, সিআইবি রিপোর্টিং, ক্রেডিট রিস্ক গ্রেডিং ইত্যাদি করে ঋণ প্রস্তাবটি শাখা ম্যানেজার প্রধান কার্যালয়ে পাঠান।

২০১৭ সালে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা কম্পোজিট ঋণসীমা অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে গ্রাহক অনুমোদিত ঋণের ৬৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেন এবং এ টাকা উত্তোলনের সময় ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার জর্জ কর্নেলিয়াস গোমেজের কথামতো গ্রাহক বাদশা মিয়া তার কাছে থাকা চেক বইয়ের ৬০টি ফাঁকা চেকের পাতাসহ ফাঁকা পে-অর্ডার ও রসিদে সরল বিশ্বাসে স্বাক্ষর করেন।

এ চেক, পে-অর্ডার ও রসিদগুলো ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার জর্জ কর্নেলিয়াস গোমেজের কাছে রেখে দেন। এগুলো ব্যবহার করে এসএমই ঋণের বাকি ৯৫ লাখ টাকা কৌশলে উত্তোলন করে জর্জ কর্নেলিয়াস গোমেজ ও রাসেল মিয়া আত্মসাৎ করেন বলে দুদক প্রমাণ পেয়েছে। পরবর্তীতে আসামিরা অপরাধ স্বীকার করে চেকের মাধ্যমে কয়েক দফায় গ্রাহককে ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিলে ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

 

 

 

সর্বশেষ খবর