হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় গরু চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক নারী ইউপি সদস্যসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের কালিশিরি গ্রামের মো. মনফর উল্ল্যার স্ত্রী মোছা. মমিনা খাতুন (৩৮) এবং বনগাঁও গ্রামের আবদুল কুদ্দুছের ছেলে আবদুর রউফ (৩৫)। মমিনা খাতুন ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত (মহিলা) মেম্বার। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

জানা যায়, কালিশিরি গ্রামের নুরুল ইসলাম ও তোফাজ্জলের মা তাসলিমা। মা একজন হলেও বাবা দুজন। তারা তাদের নানির বাড়িতে থাকে। নানি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সংসার চালান। তাদের মা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরব চলে যান জীবিকার তাগিদে।

৪ মার্চ বিকালে কালিশিরি গ্রামের জোবায়ের নামে এক যুবক নুরুল ইসলাম ও তোফাজ্জলকে মাঠ থেকে গরু চুরির অভিযোগে ধরে এনে বাড়ির একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে ঘনশ্যামপুর গ্রামের সাজল মিয়া, বনগাঁও গ্রামের আবদুর রউফ, ইউপি সদস্য মমিনা খাতুনসহ সাত-আট জন একই অভিযোগে ওদের মারধর করেন।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় বলেন, ‘৪ মার্চ শিশু নির্যাতন ঘটলেও কেউ আমাদের অবগত করেনি। সমাজমাধ্যমে প্রচার হলে আমাদের নজরে আসে। আমরা তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে দুজনকে আটক করি। বৃহস্পতিবার রাতেই শিশুদের নানি আনোয়ারা খাতুন বাদী হয়ে মমিনা খাতুনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।’