বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগে রাবি শিক্ষককে অব্যাহতি

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শ্রেণিকক্ষে নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব-নিকাব খুলতে বাধ্য করা ও ফোনে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমানকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে জানতে ড. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ-উজ-জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পর ঘটনা যাচাই-বাছাই শেষে ড. হাফিজুর রহমানকে যাবতীয় একাডেমিক কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীদের শরীর নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, ক্লাসে হিজাব খুলতে বাধ্য করা, রাত-বিরাতে ফোন কল ও মেসেজ দিয়ে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

পরে সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে ১০ বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে তার বহিষ্কার দাবি জানান।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী ফাতেমাতুস সানিহা বলেন, আমরা তিন দিন মাত্র ক্লাস করেছি। এক দিন ক্লাসে আমি একটা ছোট কাগজ দিয়ে বাতাস করছিলাম, তখন আমাকে বলেন, ‘এটা কী করছ।’ তখন আমি জানাই, ‘গরমের জন্য বাতাস করছি স্যার।’ এটা শুনে তিনি বলেন, ‘এটাত খুবই দৃষ্টিকটু। এ রকম পোশাক পরে এলে তো গরম লাগবেই। তোমার গরম তোমার কাছে রাখ।’

তিনি বলেন, আমার বান্ধবী মিমি এক দিন জোরে প্রেজেন্ট দিয়েছে। কিন্তু স্যার বলে হয়নি, তোমার নেকাব খুলে তারপর দাও। আমার বান্ধবী তাহেরাকে বলেছে, এটা কেমন পোশাক? তিনি শুধু নিকাব নিয়ে কটূক্তি করেনি, ইসলামী সংস্কৃতি নিয়েও কটূক্তি করেছেন। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী হিসেবে এসব বিষয় খুবই দুঃখজনক।

এ ছাড়া ফোনে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের ডকুমেন্টস তুলে ধরে এ শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এদিকে গতকাল দুপুরে একই দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন।

 

সর্বশেষ খবর