রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
কিশোর গ্যাং

তালিকা হচ্ছে প্রশ্রয়দাতাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

কিছু দিন আগেও ঢাকায় ৩৪টি কিশোর গ্যাং ছিল। সম্প্রতি এ তালিকা বড় হয়েছে। এই কিশোর গ্যাং কালচারের নেপথ্যে আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের তালিকা করা হচ্ছে। এর পেছনে যে বড় ভাই থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘সোশ্যাল মিডিয়ার অবাধ ব্যবহারের কারণে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অতিরিক্ত আইজিপি ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। গতকাল বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা মহিদ উদ্দিন বলেন, কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির একটি বড় কারণ তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার। শুধু আইনের আওতায় এনে কিশোর অপরাধ দমন সম্ভব নয়। কিশোর অপরাধ দমনে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

কিশোর অপরাধের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হয়। তিনি বলেন, কিশোর অপরাধে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনের মাত্রা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তালিকা করবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৃষ্ঠপোষকদের নাম আসছে। তাদের তালিকা করা হবে।

অতিরিক্ত আইজিপি মহিদ উদ্দিন বলেন, আজকে যারা কিশোর তারাই আগামীর বাংলাদেশ। তাই কিশোরদের অপরাধে জড়িত হওয়া থেকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার পরিত্যাগ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি। এগুলোর ইতিবাচক ব্যবহারের মাধ্যমে উপকৃত হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার যে কোনো নেতিবাচক ব্যবহার পরিত্যাগ করতে হবে। কিশোর গ্যাং কালচারের নেপথ্যে মদদদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য হবে না।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে প্রস্তাবের পক্ষে অংশগ্রহণ করে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এবং বিরোধী দল হিসেবে প্রস্তাবের বিপক্ষে বিতর্কে অংশগ্রহণ করে সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিতার্কিক দল। প্রতিযোগিতায় আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির প্রবণতাকে আরও বেশি উসকে দিচ্ছে। বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, লাইকি, ইমু, মাইস্পেস, হাইফাইভ, বাদুসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার কিশোর অপরাধের মাত্রাকে ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

সর্বশেষ খবর