রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

১৯৭১ সালের গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে পরিকল্পিতভাবে কাজ করার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

অজস্র প্রমাণ হাতে থাকলেও যথাযথভাবে উপস্থাপনের অভাবে এখন পর্যন্ত ১৯৭১ সালের গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে তাই পরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

 বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১ এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বৃহত্তম গণহত্যার ব্যাপারে পশ্চিমা বিশ্বের নীরবতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১ এই সেমিনারের আয়োজন করে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ও পররাষ্ট্র এই দুই মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে বলেও জানান বক্তারা। সেমিনারে সভাপতির বক্তব্য রাখেন ফোরামের সহসভাপতি ম. হামিদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের পরিচালক (গবেষণা) সঞ্জীব হোসেন। সাবেক রাষ্ট্রদূত কামালউদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ, প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি আসিফ মূনীর, আমরা একাত্তরের সভাপতি মাহবুব জামান প্রমুখ।

মূল প্রবন্ধে সঞ্জীব হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে বাঙালিদের ওপর যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে, তা কেন আন্তর্জাতিক আইনে জেনেসাইড সেটি ব্যাখ্যা করে স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরও ভালো একটি জার্নালে নিবন্ধ লেখা হয়নি। এটি দুঃখজনক ও লজ্জার। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, ১৯৭১ সালে যে গণহত্যা হয়েছে তার অজস্র প্রমাণ ও তথ্য রয়েছে। অনেক ‘টেস্টিমনি’ আছে। এখানে ঘাটতির জায়গা হলো যথাযথভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এসব উপস্থাপন করা। এগুলো ইংরেজি বা আন্তর্জাতিক ভাষায় অনুবাদ করতে হবে। সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীব বলেন, ১৯৭১ এ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া গেলে ইতিহাসের সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। পাকিস্তান ও দেশটির সেনাবাহিনী দোষী সাব্যস্ত হবে। বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইবে।

অধ্যাপক হাফিজুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য একটি পথনকশা প্রয়োজন। তারপর ধাপে ধাপে এগোতে হবে। পরিকল্পিতভাবে এগোলে ১০-১৫ বছরের মধ্যে স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব হবে। বিক্ষিপ্তভাবে মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা নিয়ে অনেক বই লেখা হলেও তার সবগুলো আবার মানসম্মত নয়। ভালো মানের বইগুলোও ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়নি।

সর্বশেষ খবর