সারা দেশের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটি বৈঠক হয়। তারপরই ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

গতকাল বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছিলেন।

কারণ যেভাবে দ্রব্যমূল্য বেড়ে চলেছে তাতে তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানো দরকার।

তাছাড়া এই চিকিৎসকরা অনেক পরিশ্রম করে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তাদের এই চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। উনাকে কাগজপত্র দেখিয়েছি। উনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, দাবি-দাওয়াগুলো দেখবেন। আশা করি, এক মাসের মধ্যে বেতন-ভাতা তারা পাবেন।

মন্ত্রীর বক্তব্যের পর একজন চিকিৎসক বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তিনি আমাদের বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, এক মাসের মধ্যে আমাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির করা হবে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বকেয়া বেতন ঈদের আগেই দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২৩ মার্চ থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এ সময় ভাতা বাড়ানো ও বকেয়া ভাতা পরিশোধসহ চারটি দাবি জানান তারা। দাবিগুলো হলো- পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৫০ হাজার ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৩০ হাজার করতে হবে। এফসিপিএস, রেসিডেন্ট, নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের বকেয়া ভাতা পরিশোধ করতে হবে। বিএসএমএমইউর অধীন ১২ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের রেসিডেন্ট এবং নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ভাতা পুনরায় চালু করতে হবে। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন সংসদে পাস ও বাস্তবায়ন করতে হবে।