বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাককে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতি দিয়েছে পত্রিকাটি। গতকাল পত্রিকাটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে অব্যাহতির নোটিস দেওয়া হয়েছে এবং নোটিসটি অবিলম্বে কার্যকর গণ্য হবে।

পত্রিকাটির পক্ষ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার পেছনে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসা থেকে পড়ে কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলায় বর্তমানে তিনি সস্ত্রীক কারাগারে রয়েছেন। এর আগে ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট সৈয়দ আশফাকুল হকের বাড়ির বারান্দা থেকে একইভাবে পড়ে গুরুতর আহত হন আরেক গৃহকর্মী ফেরদৌসী। এ ঘটনায়ও আশফাকুল হক, তাঁর স্ত্রী তানিয়া খন্দকার ও আসমা আক্তার নামে আরেকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

অব্যাহতি নোটিসের তথ্য অনুযায়ী, সৈয়দ আশফাকুল হক ১৯৯৩ সালে দ্য ডেইলি স্টারের ক্রীড়া বিভাগে যোগদান করেন। এরপর তিনি ক্রমান্বয়ে ক্রীড়া সম্পাদক, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, প্রধান বার্তা সম্পাদক এবং অবশেষে ২০১৯ সাল থেকে গতকাল (২ এপ্রিল) পর্যন্ত পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

জানা গেছে, ৬ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুরে সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসার গৃহকর্মী ১৫ বছর বয়সী প্রীতি উরাং নয় তলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওইদিন গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় সৈয়দ আশফাকুল, তাঁর স্ত্রী তানিয়া খন্দকার ও তাঁদের দুই সন্তানকে আটক করে পুলিশ। পরে সন্তানদের ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রীতির মৃত্যুর ঘটনায় ৭ ফেব্রুয়ারি নিহতের বাবা লোকেশ উরাং বাদী হয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্ত দম্পতিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সর্বশেষ ২১ মার্চ তাঁদের জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ।

সর্বশেষ খবর