শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

দ্রুত ভালো খবর দেওয়ার আশা এমভি আবদুল্লাহ কর্তৃপক্ষের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিক ও জাহাজ মুক্ত করতে পুরনো অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছেন জাহাজ মালিক। এমভি জাহানমণির জিম্মিদশার সময় তৈরি সম্পর্ক কাজে লাগানো হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহর ক্ষেত্রেও। আলোচনাও এগিয়েছে অনেক দূর। জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষের দাবি, যে কোনো সময়ই জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হতে পারেন নাবিক ও জাহাজ।

জানা গেছে, ২০১০ সালের নভেম্বরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এস আর শিপিং করপোরেশনের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহানমণি। ওই সময় ২৬ নাবিক ছিলেন বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটিতে। তিন মাস পর মুক্ত হয়ে জাহাজটি সোমালিয়া থেকে ওমানের সালালা বন্দরে যায়। এবার ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই হওয়ার আট দিনের মাথায় দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। এ আলোচনা এখন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। দ্রুততার সঙ্গে আলোচনা শুরুর টনিক হিসেবে কাজ করেছে জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষের পুরনো অভিজ্ঞতা। এমভি জাহানমণির জিম্মিদশার সময় যে লবিগুলো কাজ করেছিল, তাদের কেউ কেউ কাজ করছে আবদুল্লাহকে মুক্ত করতে। ফলে দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা দ্রুততার সঙ্গে অগ্রগতি হচ্ছে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘এমভি জাহানমণির অভিজ্ঞতা এমভি আবদুল্লাহর ক্ষেত্রে কাজে লাগছে। দস্যুদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান। আশা করি দ্রুত ভালো খবর দিতে পারব।’ প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

জাহাজে ২৩ নাবিক রয়েছেন, সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজটি চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং করপোরেশনের।

সর্বশেষ খবর