শিরোনাম
শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
সাত খুনের ১০ বছর

নিহতের স্বজনরা রায় কার্যকর না হওয়ায় হতাশ

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

দেশব্যাপী আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ১০ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ শনিবার। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ও হাই কোর্টে এ মামলাটির রায়ের পর পাঁচ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় থাকায় নিহত সাতটি পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

পাঁচ বছর ধরে মামলাটি আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় থাকায় নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবার সাত খুন মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান।

নিহতের সাতটি পরিবারের মধ্যে পাঁচটি পরিবার উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের হারিয়ে এখন অর্থকষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

সাত খুনে নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী ও একটি মামলার বাদিনী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এতটুকু চাওয়া- যাতে সাত পরিবারের দিকে তাকিয়ে হলেও মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেন।’ নিহত তাজুল ইসলামের পিতা আবুল খায়ের বলেন, ‘মামলার বাদী হলো সরকার। আমরা তো আর কিছুই করতে পারছি না। এখন যা কিছু করার সরকারকেই করতে হবে। এটা এখন সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। তারপরও আমরা অপেক্ষায় আছি।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, মামলাটি প্রথম থেকে আসামি পক্ষ প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিল। এসব অবস্থার পরও বিচারিক আদালতে যে রায় পেয়েছিলাম সেই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আসামি পক্ষ হাই কোর্টে আপিল করার পরও আমরা যে রায় পেয়েছিলাম সেই রায়েও আমরা সন্তুষ্ট। নিহতদের পরিবার ও আমরা চেয়েছিলাম এ রায়টি দ্রুত কার্যকর হোক। কিন্তু আসামিরা এতই প্রভাবশালী যে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে থাকা মামলাটি তারা বিভিন্নভাবে বিলম্বিত করে সুবিধা নিতে চেষ্টা করছে। আমরা চাই আপিল বিভাগে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হোক এবং দ্রুত এ রায় কার্যকর করা হোক।

উল্লেখ্য, সাত খুনে নিহতরা হলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকার, যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান স্বপন, স্বপনের গাড়ির চালক জাহাঙ্গীর, নজরুলের সহযোগী তাজুল ইসলাম, নজরুলের বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটন ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক ইব্রাহিম। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল নজরুল ইসলামসহ ছয়জন ও ১ মে সিরাজুল ইসলাম লিটনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দরের শান্তিরচর এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

সর্বশেষ খবর