মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
ঝালকাঠিতে নিহত ১৪

দায়ী অতিরিক্ত গতি সড়ক অবকাঠামো

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠির গাবখান টোলপ্লাজায় ১৪ জন নিহতের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে গাড়ির অতিরিক্ত গতি ও সড়ক অবকাঠামোকে। গত ১৭ এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনার পরপরই গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নানা অনিয়ম ও অবহেলার কথা। ঘাতক ট্রাক চালকের লাইসেন্স ও বাসের ফিটনেস না থাকা, ওভারটেকিং করা, সড়কে অবৈধ যান, সড়কের অবকাঠামোয় ত্রুটি, ট্রাকে ওভারলোড, অতিরিক্ত গতি এবং গতিরোধের জন্য নির্দেশনা না দেওয়াকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঝালকাঠির গাবখান সেতু টোলপ্লাজায় সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক সামনে থাকা অপর একটি ট্রাক, প্রাইভেটকার এবং দুটি ইজিবাইককে চাপা দেওয়ায় ১৪ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ১৭ জন।

তদন্ত কমিটির সদস্য ড. আরমানা সাবিহা হক গণমাধ্যমকে বলেন, সেতু থেকে নামার পর গতিরোধের জন্য কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। যে নির্দেশনাটি দেওয়া হয়েছে সেটি টোলপ্লাজার একেবারেই কাছাকাছি। পাশাপাশি গাবখান সেতু এলাকায় আঁকাবাঁকা সড়ক বা স্পাইরাল কার্ভ বেশি থাকায় অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বুয়েটের এআরআইর সহকারী অধ্যাপক ড. আরমানা সাবিহা হক বলেন, দুর্ঘটনা কমাতে হলে শুধু সড়কের উন্নয়ন করলেই হবে না, অবকাঠামো ত্রুটি দূর করতে হবে। প্রতিবেদনে প্রধানতম কারণ হিসেবে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের ওভারলোড এবং অতিরিক্ত গতি দায়ী করা হয়েছে। ট্রাকটির ধারণক্ষমতা ১৫ টন হলেও সিমেন্টের পরিমাণ ছিল ২০ টন।

সড়কটিতে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৫০ কিলোমিটার হলেও ট্রাকটি ৬৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলছিল।

এ ছাড়া ট্রাকচালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। তাছাড়া তিনি ছিলেন বদলি ড্রাইভার। মূল চালক ঈদের ছুটিতে ছিলেন। সাধারণত বদলি চালকদের দ্রুততম সময়ে ট্রিপ শেষ করার তাগাদা থাকে। তাই এ দুর্ঘটনায় চালকের গাফিলতিও রয়েছে।

সর্বশেষ খবর