বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাঙালির আত্মপরিচয়ের মূলে রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সম্পর্ক : স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নতুনকে আলিঙ্গন করে নব জাগরণের ডাকে ফিরে আসে ২৫ বৈশাখ। বাংলার মানুষের জীবনসংগ্রাম, দুঃখ-দুর্দশা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালির আত্মপরিচয় ও আত্মবোধের বিকাশের মূলেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সম্পর্ক। গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার মানুষের দীর্ঘ সংগ্রাম, অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের প্রাণপুরুষ। পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একই পথের যাত্রী।

স্পিকার এ সময় অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। তিনি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন। এ সময় বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাঁশি কবিতা আবৃত্তি করেন। অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যবৃন্দ, পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীবৃন্দ, রবীন্দ্র অনুরাগী, গণমাধ্যমকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর