শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
শিক্ষার্থী মাহির স্বীকারোক্তি

বোনকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ায় খুন করা হয় গৃহশিক্ষককে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

তৃতীয় শ্রেণি থেকে গৃহশিক্ষক হিসেবে ইফতেখার রশিদ মাহিকে পড়াতেন মুক্তারুল হক। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ভয়ভীতি দেখিয়ে মাহিকে বলাৎকার করেন তিনি। এরপর মুক্তারের বলাৎকারের শিকার হয়ে আসছিল শিশু মাহি। যুবক বয়সেও ভয়ভীতি দেখিয়ে মাহিকে বলাৎকারের চেষ্টা করেন তিনি। এতে রাজি না হওয়ায় মাহির ছোট বোনকে ধর্ষণের হুমকি দেয় মুক্তারুল। আর বোনকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ায় প্রতিশোধ নিতে গৃহশিক্ষক মুক্তারুলকে খুন করেন মাহি। গতকাল মাহিকে আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য। নিহত মুক্তারুল হক সিলেটের জৈন্তাপুরের তেলীজুরী গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। অভিযুক্ত মাহি একই গ্রামের বজলুর রশিদ শামীমের ছেলে। হত্যাকান্ডের দেড় বছর পর গত সোমবার পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে মাহিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আদালতে হত্যাকান্ডের বর্ণনা দেন মাহি।

২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর সিলেট-তামাবিল সড়কের তেলীজুরী থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মুক্তারুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বাবা রহমত আলী বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে পিবিআই। পিবিআই জানায়, ঘটনার রহস্য উদঘাটনের পর সোমবার অভিযান চালিয়ে ঢাকার মালিবাগ থেকে মাহিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর